গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলার ধ্বংসযঞ্জে প্রতিদিন প্রায় ১০০ ট্রাক মানবিক সহায়তার প্রয়োজন বলে জানান জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সিএনএন ইউরোপকে মার্টিন গ্রিফিথস বলেন,‘হামাসের হামলার পর গত দুই সপ্তাহের তীব্র সহিংসতায় ইসরায়েলে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হওয়া ও ইসরায়েলি পাল্টা হামলায় গাজায় প্রায় ৩ হাজার ৫০০ লোক মারা যাওয়ার ঘটনার আগেও গাজায় ত্রাণ কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সম পরিমাণ পাঠানো হতো।’
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সহায়তা পাওয়ায় গাজা উপত্যকার দক্ষিণ প্রান্তে গাজা-মিশর সীমান্তের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করার ইসরায়েলি আশ্বাস পেয়েছেন ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে গ্রিফিথস বলেন, ‘প্রথমত, আমাদের প্রতিদিন, সেচ্ছায় নির্ভরযোগ্য প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত নিরাপদে মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমাদের গাজা-মিশর সীমান্তের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে সক্ষম হতে হবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ‘সাহায্যের অপরিহার্য কর্মসূচি’ শুরু হতে পারে বলে তিনি আশ্বাস দেন।’
গ্রিফিথস আরও বলেন,‘ত্রাণ বিতরণে সহায়তা করতে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের উন্নয়নে জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) সংস্থা সহ, গাজা উপত্যাকায় প্রায় ১৪ হাজার কর্মী নিয়োজিত রয়েছে।’
এই সপ্তাহে চারটি বোমা হামলার পর ফিলিস্তিনের রাফাহ ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ায় সিনাই মরুভূমিতে আপাতত কয়েক টন ত্রাণ আটকা পড়ে আছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এরআগে বলেছে, ইসরায়েল মিশরের মাধ্যমে খাদ্য, পানি ও ওষুধের আকারে মানবিক সহায়তা আসতে বাধা দেবে না।
ঢাকা বিজনেস/এমএ/