২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার



‘বিদেশি বিনিয়োগ বাড়লে ডলার সংকট কমবে’

স্টাফ রিপোর্টার || ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১০:৩৯ এএম
‘বিদেশি বিনিয়োগ বাড়লে ডলার সংকট কমবে’


বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, ‘আশা করছি ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। আর যত বেশি বিদেশি বিনিয়োগ হবে, ডলার সংকট তত কমবে।’ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ভবনের (বিডা) কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

উপদেষ্টা বলেন, ‘ফোরামে দেশের রিজার্ভে একটি ইতিবাচক ফল আসবে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিদেশি অনেক বিনিয়োগ হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ভালো রিটার্ন পাচ্ছেন। তারা খুশি।’ তিনি জানান, আগামী ১৩-১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ‘কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। 

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় বিদেশি ব্যবসায়ীরা খুশি জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। এজন্য বিদেশিরা খুশি। ব্যবসার পরিবেশ এখন দেশে খালো। এ জন্য বিদেশিরা বাংলাদেশে আসতে চায়, বিনিয়োগ করতে চায়। আশা করছি আগামীতেও এই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকবে।’ 

এনবিআরে ব্যবসাীয়রা হয়রানি হচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘হয়রানি হয় না এটা বলবো না। তবে, ব্যবসায়ীরা যদি সময়মতো ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করেন, তাহলে কিন্তু তাদের সব সমস্যাই সমাধান করা যায়। আগামীতে এনবিআরে ভ্যাট-ট্যাক্সের সব কাজ অনলাইনে করা হবে, তখন আর সমস্যা হবে না।’ 

তিনি বলেন, ‘ট্রেড ফোরামে কমনওয়েল্থভুক্ত সব দেশ আসবে বলে আশাবাদী। এর বাইরেও অনেক দেশ আসবে। আমরা এসব দেশের সঙ্গে নেটওয়ার্ক করতে চাই। আমরা চাই পিপল টু পিপল এবং বিজনেস টু বিজনেস নেটওয়ার্ক বাড়াতে।’

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে কমনওয়েলথে যোগদানের পর থেকে বাংলাদেশ সংগঠনটির একটি সক্রিয় অংশ ছিল। ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম বাংলাদেশকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির এক অসাধারণ সুযোগ করে দেবে।’  

এক প্রশ্নের উত্তরে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমরা আসন্ন ফোরামে উপস্থিত থাকার জন্য সব কমনওয়েলথ দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং নাইজেরিয়া, কেনিয়া, রুয়ান্ডা এবং ঘানার মতো দেশ ইতোমধ্যেই তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশে বেশ কিছু স্টার্ট-আপ গড়ে উঠেছে এবং তারা আগামী ফোরামে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকেও নজর দেবে।’

প্রসঙ্গত, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি, উদ্ভাবন প্রচার এবং বাংলাদেশের জন্য একটি টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ অন্বেষণ করতে আগামী ১৩-১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম।’

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেডআই ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্বে কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডব্লিউইআইসি) কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামটির আয়োজন করতে যাচ্ছে।

কমনওয়েলথ হল ৫৬টি দেশের সমন্বয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যা একটি সাধারণ মূল্যবোধের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ এবং এ দেশগুলোতে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ লোক বসবাস করে। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে কমনওয়েলথের ৩৪তম সদস্য হিসেবে যোগদান করে।

ঢাকা বিজনেস/মাহি/এমএ/



আরো পড়ুন