১৮ মে ২০২৪, শনিবার



চাপের ম্যাচ সহজ করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ মিরাজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট || ০৭ অক্টোবর, ২০২৩, ০৫:১০ পিএম
চাপের ম্যাচ সহজ করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ মিরাজ


বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে আফগানিস্তানকে পরাজিত করলো বাংলাদেশ। মিডিয়াতে ম্যাচটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ছিল। বাংলাদেশ দলও ছিল কিছুটা চাপে। ওদিকে আফগানিস্তানও হুঙ্কার দিয়ে রেখেছিল জয়ের। তবে ব্যাটল ফিল্ডে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ। প্রথমে বল ও পরে ব্যাট হাতে অলরাউন্ড পারফর্ম করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর তাই নিশ্চিতভাবেই ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরষ্কারও উঠলো এই অলরাউন্ডারের হাতে। 

ভারতের অরুনাচল প্রদেশের ধর্মশালায় টস নামের ভাগ্য জিতেছিলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সবার ধারণা ছিল বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং নেবে। কারণ প্রতিপক্ষের তুলনায় বাংলঅদেশের ব্যাটিং সাইট শক্তিশালী। কিন্তু হলো উল্টো। কারণও ছিল তার পেছনে। ধর্মশালার উইকেট ছিল স্লো। বল নিচু হয়ে আসছিল। আউটফিল্ডও ছিল স্লো, ভেজা। উইকেটের আচরণ কেমন হয়- তা নিয়ে ছিল সংশয়। আর তাই টস জিতে আগে বল করাটাই ছিল বুদ্ধিমানের কাজ। সেটিই করেছিল বাংলাদেশ। 

শুরুটা ভালোই ছিল আফগানিস্তানের। ৪৭ রানে পরে তাদের প্রথম উইকেট। দ্বিতীয় উইকেট পরে ৮৩ রানে। দুটোই নিয়েছিলেন সাকিব। ১১২ রানে তৃতীয় উইকেট পড়লে সেটি পান মিরাজ। এরপর রশিদ খান ও মুজিবুর রহমানকে বোল্ড করেন তিনি। মিরাজের সঙ্গে তিন উইকেট পেয়েছেন সাকিব আল হাসানও। এদুজন ধ্বস নামান আফগান শিবিরে। ফলে দুর্দান্ত শুরু করা আফগানরা গুটিয়ে যান মাত্র ১৫৬ রানে। শরিফুল পান ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন তাসকিন ও মুস্তাফিজ। 

১৫৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। জাতীয় দলের হয়ে ধারাবাহিক ব্যর্থতার বলয় হতে বের হতে পারেননি তরুন ওপেনার তানজিদ। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে এরকম অনভিজ্ঞ তরুণকে পলীক্ষার মুখে ঠেলে দেওয়া উচিত হয়নি বলেই ভক্তদের চিন্তা। ১৩ বলে ৫ রান করে দলীয় ১৯ রানে ফিরে আসেন তানজিদ, হয়ে যান রান আউট। ডাইভ দিলে বেঁচে যেতেন তিনি, কিন্তু ক্যাজুয়াল মোডে আউট হয়ে যান। আরেক ওপেনার লিটন দাসও আউট হন দলীয় ২৭ রানের মাথায়। ১৮ বলে ১৩ রান করে ইনসাইড বোল্ড হয়ে যান। তানজিদের বিদায়ের পর এসেছিলেন মিরাজ। লিটনের পরে আসেন শান্ত। এ দুজন দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। দলীয় ১২৪ রানের সময় আউট হন মিরাজ। ততক্ষণে তিনি ৭৩ বলে ৫৭ রান করেন। মিরাজের বিদায়ের পর আসেন সাকিব। তিনি ১৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন। শেষ পর্যন্ত নট আউট থেকে মাঠ ছাড়েন শান্ত, তার সংগ্রহ ৮৩ বলে ৫৯। ওদিকে ৬ বলে ২ রান নিয়ে মুশফিক ছিলেন অপরাজিত। 

বল হাতে ৩ উইকেট, ব্যাট হাতে ৫৭- প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের জন্য আর যেন কোনো অপশনও ছিল না। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হওয়া সম্মানের বলেই মনে করেন মিরাজ। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, তিনি ঠিক জায়গায় বল ফেলেছেন। যে কারণে কাজটা সহজ হয়ে গেছে। 

তিনি বলেন, ‘ব্যাট হাতে উইকেটে আসার পর আমি বল বাই বল মোকাবেলা করার চেষ্টা করেছি। রান পাওয়ার চেষ্টা করিনি। রান হয়ে গেছে। উইকেটে টার্ন ছিল। যে কারণে আমি স্ট্রেইট খেলার চেষ্টা করেছি। আমি সাধারণত ৮ নম্বরে ব্যাট করি। আমাকে এই পজিশনে সুযোগ দেয়ার জন্য আমি ক্যাপ্টেন এর কাছে কৃতজ্ঞ। এর আগে কিছু ম্যাচে আমি টপ অর্ডারে ব্যাট করেছি। আমার মধ্যে ভালো ব্যাট করার ক্ষুধাটা সব সময় ছিল। আমার জন্য এটা একটা দারুণ মুহূর্ত’।

ঢাকা বিজনেস/এমএ/



আরো পড়ুন