সুড়ঙ্গ বাড়ি
জানি তুমি ভালো আছ
মাটির নিচে নিজের জন্য ঘর করেছো।
আচ্ছা, ওই ঘরে তো জানালা নেই!
তোমার বুঝি গরম লাগে অনেক?
বেশি কষ্ট পেলে আমাকে জানাবে
আমি এসে তাল পাখায় বাতাস করে দেবো।
লেবু, তেতুলের বিট লবণ শরবতের সঙ্গে
বরফের টুকরো
আহ কী শান্তি!
আচ্ছা তুমি নাকি সুড়ঙ্গ খুঁড়েছ। কিন্তু কেন?
ও আচছা বেড়াতে যাবে বুঝি?
গোসলের কুয়োটা , স্বচ্ছ তো!
কচুর লতি,করলা ভাজি ভর্তা
কে করে দেয়? একাই করো!
সবচেয়ে কষ্ট কী জানো?
তোমার প্রিয় বর্ষা তোমার শত্রু!
সাজানো সব ভিজিয়ে তছনছ করে তোমার!
আর চোখের জল হয়ে ঝরে আমার!
তুমি ভালো থেকো প্রিয়!
তোমার প্রিয় বর্ষা, আর আমাকে ঘিরে!
ফেলে আসা দিন
ফেলে আসা দিন চির অমলিন
দুরন্ত শৈশবের অতৃপ্ত স্মৃতি
বুনোহাঁস, বুনোফুলে ভরা পথ
দিঘি,বটের ছায়ায় আশ্রয়।
মেঠোপথের দুপাশে জঙ্গলে
অচেনা ফুলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা মন!
আমি নিজেকে খুঁজে ফিরি চিরতরে
অপাঠ্য কবিতার মতো অপেক্ষা
তুমি সেই ইতিহাস সাক্ষী রেখে
হাত রেখেছিলে নির্ভয় চোখে
আমি আছি ছিলাম থাকব
ইন্দ্রিয় নিশ্চুপ ভালোবাসায়
মন মাতোয়ারা অবুঝ ভালোবাসা
তুমি ফিরে এসো; হাত ধর প্রিয়
মন বোঝে না তুমি আছো ওপারে।
অঙ্ক
চলছে দুটি সিড়ি ভাঙার অঙ্ক;
ভাঙতে ভাঙতে নামছি দুজন !
যোগ বিয়োগের হিসাব মেলানো
আর পাতা ভরা নামতা গনন!
যেন হাজারো চেনা সংখ্যার খেলা
ছোট্ট ভুলে পুরো অঙ্ক গুলিয়ে ফেলা
যোগে যোগে বাড়ে সম্পর্কের হিসাব ,
ভালোবাসা-শান্তির যেন কলরব!
বিয়োগে বিয়োগে কমে জীবনের মূলধন !
শূন্যের ভয়ে সঞ্চয় হারিয়ে ছটফট মানবপ্রাণ!
একটা ভুল গুণ করে হয় শতগুণ
ভাগ করতেই ভাগ হয়, জীবন-যৌবন-মন !
অতীত আর বর্তমান জ্যামিতির প্যাঁচে অসহায়!
জীবনের অঙ্ক মেলানো সত্যি কঠিন দায়!
সিঁড়ি ভাঙার অঙ্ক ভেঙে ভেঙে শূন্য
যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগে অলীক জীবন পূর্ণ!