২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



সরকার প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম
সরকার প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল: প্রধানমন্ত্রী


আওয়ামী লীগ সরকার সর্বপ্রথম বয়স্কভাতা ও বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রবর্তন করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সরকার প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি অত্যন্ত সংবেদন ও শ্রদ্ধাশীল।  ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ উপলক্ষ্যে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাদের বিভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জ। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। যাদের শ্রম, মেধা, অভিজ্ঞতা দেশ গড়ার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে, তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন আজ সকলের নৈতিক দায়িত্ব।’ 

শেখ হাসিনা বলেন,‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজকের প্রবীণ নাগরিকগণই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে লাল-সবুজের পতাকা অর্জন করেন। বঙ্গবন্ধু প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত সংবেদনশীল। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রবীণ নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫(ঘ)অনুচ্ছেদে অসহায় প্রবীণদের জন্য সাংবিধানিক অঙ্গীকার তিনি সন্নিবেশিত করেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারই সর্বপ্রথম ১৯৯৬ সালে বয়স্কভাতা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রবর্তন করে। আজ এ উদ্যোগ দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে সমাদৃত ও প্রশংসিত। আমরা প্রতি উপজেলায় বয়স্কভাতা প্রাপ্তিযোগ্য সকল প্রবীণ নাগরিককে পর্যায়ক্রমে এ কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ২০১৩ সালে সরকার জাতীয় প্রবীণ বিষয়ক নীতিমালা, পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন প্রবর্তন করে। আমরা অবসরপ্রাপ্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য পেনশন সহজীকরণ, বৈশাখী ভাতা প্রদান, ইএফটি’র মাধ্যমে সরাসরি তাদের পাওনা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। ’

ঢাকা বিজনেস/এমএ/



আরো পড়ুন