মাশরুম খেতে সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এটি শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। কম ক্যালোরি ছাড়াও, মাশরুম অনেক পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এটি সালাদ, স্যুপ, সবজি, এমনকি স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যায়। প্রতিদিনের ডায়েটেও মাশরুম অন্তর্ভুক্ত করা যায়। চলুন, জেনে নেওয়া যাক মাশরুমের উপকারিতা।
সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ
সেলেনিয়াম শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ফ্রি র্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করার পাশাপাশি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে সেলেনিয়াম পাওয়া যায়। এটি শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে।
ওজন কমাতে কার্যকর
মাশরুমে খুব কম ক্যালোরি রয়েছে। ৫টি সাদা মাশরুমে মাত্র ২০ ক্যালোরি রয়েছে। মাশরুম খেলে পেট ভরা থাকে। দ্রুত খিদে পায় না। ফলে জাঙ্ক ফুড ও অতিরিক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা সম্ভব।
নানাভাবে খেতে পারেন
পুষ্টিবিদ বলেছেন যে, খাদ্যতালিকায় অনেক ধরনের জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। মাশরুম একটি সহজলভ্য সবজি যা বিভিন্ন উপায়ে তৈরি করা যায় এবং এর পুষ্টিগুণ গ্রহণ করা যায়।
ভিটামিন ডি-এর ভালো উৎস
ভিটামিন ডি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাব অনেক রোগের কারণ হয়। ভিটামিন ডি খুব কম শাকসবজিতে পাওয়া যায়। মাশরুম তার মধ্যে একটি। প্রতিদিন মাশরুম খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণ হয়।
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যালগুলোর বিরুদ্ধে শরীরকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। যা ক্যান্সার ও হৃদরোগের মতো রোগের কারণ হতে পারে। এগুলো ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। বার্ধক্যজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। সেলেনিয়াম একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মাশরুমে প্রচুর। প্রকৃতপক্ষে, তারা খনিজ উৎপাদনের আইলের সেরা উৎস।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
মাংসের একটি দুর্দান্ত কম-ক্যালোরি, কম চর্বিযুক্ত বিকল্প হলো মাশরুম। এগুলোতে ক্যালোরি কম এবং জলের পরিমাণ বেশি। মাশরুমে উচ্চ পেকটিন ঘনত্ব, এগুলোকে দ্রবণীয় ফাইবারের একটি ভালো উৎস করে তোলে। যা হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণতা অনুভব করে। এগুলোতে প্রোটিনও বেশি ও চর্বি কম।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
বিটা-গ্লুকান নামে পরিচিত এক ধরনের ফাইবার, যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে এই উপাদান রয়েছে। বিটা-গ্লুকান ক্যান্সার ও উচ্চ কোলেস্টেরলের অন্যতম প্রতিষেধক। মাশরুমে রয়েছে সেলেনিয়াম, এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। সর্দি ও ফ্লু প্রতিরোধ করে।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
মাশরুমে মজুত ভিটামিন বি৬ সুস্থ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়ক। এর মধ্যে রয়েছে সেরোটোনিন, একটি নিউরোট্রান্সমিটার যা মেজাজ, খিদে, ঘুম ও মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে ট্রিপটোফ্যান, একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা সুস্থ মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়। কারণ এর মধ্যে অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট গুণ রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে।
চুল-ত্বকের জন্য ভালো
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে তামা রয়েছে। তামা স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। মাশরুমের মতো তামা সমৃদ্ধ খাবার খেলে ত্বকে কোলাজেন তৈরি হয়, যা তারুণ্য, উজ্জ্বল ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয়।
ঢাকা বিজনেস/এন