২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



টাঙ্গাইলে ৩ নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে, ভাঙন আতঙ্কে স্থানীয়রা

আব্দুল্লাহ আল নোমান,টাঙ্গাইল || ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৮:৩৯ এএম
টাঙ্গাইলে ৩ নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে, ভাঙন আতঙ্কে স্থানীয়রা


টাঙ্গাইলে সব নদীর পানি অব্যাহত গতিতে বেড়ে চলেছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, জেলার প্রধান তিন নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে, ভূঞাপুর উপজেলার কষ্টাপাড়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে যমুনা নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। উপজেলার পাটিতাপাড়া নদীভাঙন শুরু হয়েছে। ফলে ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে শত শত পরিবারের। 

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় শনিবার সকালে ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার, যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার এবং  ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে  ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

সরজমিনে দেখা গেছে, টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ভূঞাপুরের পাটিতাপাড়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে শত শত পরিবারের। হুমকিতে রয়েছে স্কুলসহ বহু স্থাপনা। 

এদিকে, ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় কয়েক দফা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি স্থায়ী একটি গাইড বাঁধের।

পাটিতাপাড়া ভাঙনকবলিত এলাকার নাসির উদ্দিন, সেকাম শেখ, সিরাজুল ইসলাম, সজল বলেন, ‘যমুনার পানি বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে অনেক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।  প্রায় ৫০ বছর আগের কবরস্থান ও ঈদগাহ মাঠ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন  আমাদের আর কিছুই রইলে না।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, ‘ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ভাঙনকবলিতদের নগদ অর্থসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। অসহায় গৃহহীনদের পুনর্বাসন করা হবে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’

টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘কিছুদিন আগে যমুনার পূর্ব পাড়ে ভাঙনরোধে কয়েক দফায় জিও ব্যাগ ফেলেছি। সেটা এখন অব্যাহত রয়েছে। স্থায়ী বাঁধের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। অনুমতি পেলে কাজ শুরু হবে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/ 




আরো পড়ুন