গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে কাটা-ছেঁড়া-সেলাই থেকে ইনজেকশন পুশসহ যাবতীয় কাজ করেন অবসরে যাওয়া নৈশপ্রহরী। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
এলাকাবাসী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১ মাস আগে পরিবার পরিকল্পনা অফিস থেকে নৈশপ্রহরীর কাজ থেকে অব্যাহতি পান আমির হোসেন। এই সুবাদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও)-এর সহযোগিতায় জরুরি বিভাগে কাজ করার সুযোগ পান তিনি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এক্সিডেন্ট, মারামারি, দুর্ঘটনাজনিত বিভিন্ন রোগী আসেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বিভিন ধরনের ক্ষতস্থান সেলাই করা, ইনজেকশন পুশ করা, ব্যান্ডেজসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করেন নৈশপ্রহরী আমির হোসেন।
দক্ষ ডাক্তাররা বসে থেকে অদক্ষ লোকদের দিয়ে জরুরি বিভাগের কাজ করানোসহ প্রতিদিন রোগীদের থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এতে রোগীদের যেকোনো সময় মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সাধারণ রোগীরা।
কালিয়াকৈরের রতন হোসেন বলেন, ‘কিছুদিন ধরেই জরুরি বিভাগে এই অদক্ষ লোক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এতে রোগীদের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এটা মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করা।’
অবসরে যাওয়া নৈশপ্রহরী আমির হোসেন বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না। আমার সম্পর্কে যা জানার স্যারের কাছে শোনেন।’
উপজেলা মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) নাজমুন নাহার ইতিও মন্তব্য করবেন না বলে জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান আজাদ বলেন, ‘হাসপাতালে লোক কম থাকায় নৈশপ্রহরী কাজ করছেন। তবে কোনো আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে আমরা অব্যাহতি দিয়ে দেবো।’
গাজীপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
ঢাকা বিজনেস/এন/এনই