০২ জুন ২০২৪, রবিবার



হিলিতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ২৯ মার্চ, ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম
হিলিতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার


দিনাজপুরের হিলি বাজারে জমে উঠেছে ঈদবাজার। শুক্রবার (২৯ মার্চ)। সরকারি ছুটির দিনে জমজমাট হয়ে উঠেছে দিনাজপুরের হিলির ঈদবাজার। স্থানীয় ক্রেতা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা আসছেন ঈদবাজার করতে। জুমার নামাজের পর থেকে বাড়ছে ক্রেতাদের সংখ্যা। কেউ আসছেন তৈরি পোশাক কিনতে। আবার কেউ আসছেন মসলাপাতি কিনতে। ক্রেতারা বলছেন, সরকারি ছুটি থাকায় তারা ঈদবাজার করতে হিলিতে এসেছেন। এ দোকান সে দোকান ঘুরে ঘুরে দেখছেন। পছন্দ ও দরদামে মিললে কিনবেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিবছর রোজার ঈদের ১০ থেকে ১৫ রোজা পার হলে বিক্রি বাড়তে থাকে। এবারও তাই হচ্ছে। 

হিলি বাজারের এসেছেন গাইবান্ধা থেকে মো. মনিরুল ইসলাম আকাশ। তিনি বলেন, ‘আমি একটি সংস্থায় চাকরি করি। রমজান মাসের ১৫ দিন পর হয়েছে। ঈদ ঘনিয়ে আসছে। আজ শুক্রবার ছুটির দিন। তাই পরিবার নিয়ে হিলি এসেছি ঈদের তৈরি পোশাক কিনতে। দোকান ঘুরে দেখছি। দাম মোটামুটি নাগালের মধ্যেই আছে। পছন্দ হলে কিনবো।’ 

আকাশ আরও বলেন, ‘এখানে এসে যেটা দেখছি। গাইবান্ধার তুলনায় হিলিতে তৈরি পোশাকের দাম অনেকটাই কম। এখন শুধু পছন্দের ব্যাপার। পছন্দ হলে পরিবারের সবার জন্যই কিনবো।’

আরেক ক্রেতা মো. হোসনেয়ারা বলেন, ‘আমরা বগুড়া থেকে এসেছি। ঈদের কেনাকাটা করতে। তৈরি পোশাক সঙ্গে মসলাপাতি কেনার ইচ্ছে আছে। বগুড়াতে তো মসলার দাম হিলি চেয়ে বেশি। তাই কাপড় কেনার পর মসলা কিনবো। এখানে কাপড়ের দামও কম। যেহেতু বগুড়া থেকে এসেছি। তাই ঈদের সব কেনাকাটা করার ইচ্ছেই আছে।’

আলিফ বস্ত্রালয়ের মালিক মো. মনির হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর রমজানের ১০ থেকে ১৫ রোজা পার হলে হিলিতে ঈদের কেনাকাটা বাড়তে থাকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা আসেন। ঈদের কেনাকাটা করতে। এবারও ১০ রোজার পর থেকেই বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে। এখনো ঈদের ১০ দিনেরও বেশি বাকি আছে। আশা করছি বিক্রি আরও বাড়বে।’ 

মসলা বিক্রেতা মো. মোকারম হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘রোজার ঈদের মসলা তেমন একটা বিক্রি হয় না। তারপরও বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা পোশাক কিনতে আসছেন । এরমধ্যে হয়তো কেউ কেউ জিরা, বড় এলাচ, ছোট এলাচ কিনছেন।’

মোকারম হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা এখন প্রতিকেজি জিরা ৬২০ টাকা কেজি, বড় এলাচ ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে আর ছোট এলাচ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। তবে কোরবানি ঈদের আগে মসলা বেশি বিক্রি হয়।’ 



আরো পড়ুন