২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার



হিলিতে দাম বেড়েছে মাছ-ডিমের, সবজিতেও আগুন

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ১০ আগস্ট, ২০২৩, ০৭:৩৮ এএম
হিলিতে দাম বেড়েছে মাছ-ডিমের, সবজিতেও আগুন


দিনাজপুরের হিলিতে মাছ-ডিমসহ সব কাঁচা সবজির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। এতে বিপাকে পড়েছেন মধ্য ও নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, এভাবে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে আমাদের চলা দুষ্কর হয়ে পড়বে। 

এদিকে, বিক্রেতারা জানান, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে বাজারে কাঁচা পণ্যের আমদানি কমে গেছে। তাই দাম বেড়েছে। মাছ-ডিম বিক্রেতারা একই কথা বলছেন। 

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে হিলি বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। 

সবজি ক্রেতা আছাদুল ইসলাম বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার প্রতিকেজি আলুর দাম ছিল ৪০ টাকা, আজ কিনতে হলো ৫০ টাকা করে। ঢেঁড়স ছিল ২০ টাকা কেজি, আজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। বেগুন ছিল ৩০ টাকা কেজি, আজ কিনতে হলো ৪০ টাকা কেজি দরে। এভাবে প্রতিটি কাঁচা তরকারির দাম কেজি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।’ 

মাছ বাজারে কথা হয় ক্রেতা সোলাইমান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বেশি বেড়েছে মাছের দাম। গত সপ্তাহে যে বড় সাইজের পাঙ্গাস মাছের দাম ছিল ১৬০ টাকা কেজি। আজ সেই মাছ কিনতে হলো ২০০ টাকা। বড় সাইজের প্রতিকেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। কাতলা মাছের দাম আরও বেশি। বড় সাইজের প্রতিকেজি কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত। ২০০ টাকা কেজির নিচে বাজারে কোনো মাছ নেই। এতে আমাদের মতো মধ্যম আয়ের মানুষের চলা মুশকিল হয়ে পড়েছে।’

ডিম ক্রেতা আকলিমা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী সামান্য চাকরিজীবী। প্রতি মাসে এক পাতা (৩০টি) করে ডিম কিনি। গত মাসে (জুলাই) মাসে প্রতিপাতা ডিমের দাম ছিল ৩৩০ টাকা। আজ এ মাসে প্রতিপাতা ডিম কিনলাম ৩৮০ টাকা। এক পাতায় বেড়েছে ৫০ টাকা।’ 

হিলি বাজারের কাঁচা তরকারি বিক্রেতা মো. আশরাফ আলী বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। আর হিলিতে এসব কাঁচা তরিতরকারি আবাদ হয় না। পাশের উপজেলা পাঁচবিবি ও বিরামপুর থেকে আসে। সরবরাহ কম হওয়ায় পণ্যগুলো বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।’ 

মাছ বিক্রেতা মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমাদের মাছচাষীদের কাছ থেকেই বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে। কেজিতে ১০টাকা লাভ করে বিক্রি করছি। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি পাঙ্গাস মাছ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আর আজ মাছচাষিদের কাছ থেকেই কিনতে হলো ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি। বিক্রি করছি ২০০ টাকায়। এ ছাড়াও, বাজারে সবধরনের মাছের সরবরাহ আগের চেয়ে কমে গেছে। তাই মাছের দাম বেড়েছে।’ 

ডিম বিক্রেতা মো. সিদ্দিক হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমি রংপুর থেকে ডিম নিয়ে আসি। গত সপ্তাহে মোকামে প্রতিটি ডিমের দাম ছিল সাড়ে ১০ টাকা করে। সব খরচ দিয়ে ১১ টাকা পড়তো। আর বিক্রি করতাম ১২ টাকা করে। এ সপ্তাহে মোকামেই প্রতিটি ডিম কিনতে হচ্ছে সাড়ে ১১ টাকা করে। পরিবহন খরচ, নিজের খরচ দিয়ে হিলিতে আনতে প্রতিটি ডিমের দাম পড়ছে ১২ টাকা করে। আর বিক্রি করছি সাড়ে ১২ টাকা করে। প্রতিপাতা (৩০টি) ডিমের দাম হয় ৩৮৫ টাকা করে। কিন্তু যারা একসঙ্গে একপাতা ডিম নিচ্ছেন, তাদের কাছে ৩৮০ টাকা নিচ্ছি।’ 

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন