২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



কর্মীদের সান্ত্বনা দিতেই বিএনপি নেতাদের হাঁকডাক: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার || ০৩ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৭:৩১ পিএম
কর্মীদের সান্ত্বনা দিতেই বিএনপি নেতাদের হাঁকডাক: তথ্যমন্ত্রী


বিএনপির হাঁকডাক আসলে ‘খালি কলসি বেশি বাজার মতো’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘খন্দকার মোশাররফ সাহেবসহ অন্য বিএনপি নেতারা আসলে কর্মীদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্যই বড় গলায় কথা বলেন। তারা কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেননি, পারবেনও না।’ মঙ্গলবার (৩) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে  আওয়ামী লীগের  সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সৈয়দ আশরাফের ছোট বোন সৈয়দা জাকিয়া বারী লিপি ও পরিবারের সদস্যরা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ‘সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদ’সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। 

বিএনপি নেতাদের মুখে বারবার সরকারের পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির এ সব কথা গৎবাঁধা। আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার কয়েক মাস পর থেকেই তারা এই কথাগুলো বলা শুরু করেছেস। প্রকৃতপক্ষে তাদের নেতাকর্মীরাই তাদের সঙ্গে নেই। ১০ ডিসেম্বর তারা যেভাবে হাঁকডাক করেছিলেন, এরপর যখন তাদের সমাবেশে ১০ লাখ মানুষের কথা বলে ৫০ হাজারের মতো মানুষ হলো। এরপর থেকে বিএনপির নেতারা তাদের কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। এখন সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, তাদের কর্মীরাও তাদের সঙ্গে নেই।’ 

তথ্যমন্ত্রী বলেন,  ‘বিশ্বমন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আজকে সমগ্র পৃথিবী তার প্রশংসা করছে। দেশের জনগণও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, সরকারের সঙ্গে আছে। 

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্মরণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তিনি জাতীয় চার নেতার অন্যতম এবং বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যিনি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন, সেই সৈয়দ নজরুল ইসলামের সুযোগ্য পুত্র।’ 

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দু’বারের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তার মৃত্যুটা আমাদের কাছে ছিল অপ্রত্যাশিত, অল্প বয়সেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি একজন সজ্জন পরিশীলিত মানুষ ছিলেন। লোভ-লালসার পেছনে তিনি কখনো ছোটেননি। রাজনীতিকে ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন। তার কাছে নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের অনেক কিছু শেখার আছে।’  

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন