বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের অধীনে বর্তমান সংবিধানের আলোকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালে সরকারের ভূমিকা গৌণ এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই বেশি। নির্বাচনকালে বর্তমান সরকার শুধু ফ্যাসিলিটেটরের ভূমিকা পালন করবে।’
সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার সক্ষমতা নিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত। ইলেকশন মনিটরিং টিম আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল, আগামী নির্বাচন নিয়ে তারা নানা প্রশ্ন করেছে বিশেষ করে আগামী নির্বাচন করার লক্ষ্যে সরকার কি প্রস্তুতি নিচ্ছে বা নির্বাচন কমিশনের কি পরিস্থিতি, সেগুলো তারা আলোচনা করেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি তাদের জানিয়েছি নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মাঠ প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রশাসন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেগুলো নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত হয়, তাদের ওপর সরকারের কর্তৃত্ব থাকে না। সরকার নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতিরেকে কোনো কর্মকর্তাকে বদলি বা কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।’
বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির বেশির ভাগ নেতারাই নির্বাচন করতে চায়। বিএনপি এমন একটি দল, যে দলের কাউকে ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশন কোনো নির্বাচনই করতে দিচ্ছে না। অথচ তাদের দলের প্রায় সবাই নির্বাচন করতে চায়। সেটির বহি:প্রকাশ আমরা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোতে দেখেছি, উকিল আব্দুস সাত্তারকে দেখেছি। এ রকম বহু আব্দুস সাত্তার আগামী নির্বাচনে বেরিয়ে আসবে।’
বৈঠকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক টেরি এল. ইজলে (Terry L. Easley) ও আয়ারল্যান্ডের ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষয়ক রিপোর্টার নিক পাওয়েল (Nick Powell) এবং ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান আবেদ আলী, পরিচালকদের মধ্যে অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, ড. আজাদুল হক, মোহাম্মদ ইকবাল বাহার এবং আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিজনেস/এন/