দিনাজপুরের হিলিতে ভরা বর্ষায়ও বৃষ্টি নেই। পানির অভাবে আমন ধান রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের। যদিও কোনো কোনো কৃষক ইতোমধ্যে খাল-বিল থেকে পানি তুলে আমন ধান রোপণ করেছেন। কিন্তু তারা বলেছেন, বৃষ্টির অভাবে ধানক্ষেতে ফাটল ধরেছে। ফলে আমন ধান রোপণ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।
রাঙ্গামাটি গ্রামের কৃষক মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘চলছে শ্রাবণ মাস। এই সময় ফসলের মাঠ বৃষ্টির পানিতে টইটুম্বুর থাকার কথা। ভরা বর্ষা মৌসুমেও দেখা বৃষ্টির দেখা মিলছে না।’
ছাতনী গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘অপেক্ষাকৃত নিচু জমিগুলোতে কিছুটা পানি থাকায় সেখানে ধান রোপণ করেছি। আর উঁচু জমিগুলোতে পানি না থাকায় এবার বিপাকে পড়েছি। পানির অভাবে জমিতে চাষ দিতে পারছি না। গভীর নলকূপের পানি দিয়ে আমন চাষ শুরু করেছি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আবারও শুকিয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেতে পানি না থাকায় ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।’
বাগদোড় গ্রামের রাব্বু মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকায় গভীর ও অগভীর নলকূপ না থাকায় জমি চাষই শুরু করতে পারেননি অনেক কৃষক। তাই এবার আমন ধান চরম অনিশ্চতায় আছি। এরপরও কয়েকদিনের মধ্যেই বৃষ্টি হবে বলে আশা করছি। তখন জমি চাষসহ আমন ধান রোপণের কাজ শুরু করবো।’
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আরজেনা বেগম বলেন. ‘হাকিমপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ জমিতে চারা রোপণ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে রোপণ কাজ শেষ হবে। রোপা আমন ধান বৃষ্টিনির্ভর। বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠে সেচে পানি দিয়ে চাষের কাজ চালিয়ে নিতে হচ্ছে।’
ঢাকা বিজনেস/এইচএম/