১৮ মে ২০২৪, শনিবার



‘গবেষণার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি’

স্টাফ রিপোর্টার || ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৩:৩২ এএম
‘গবেষণার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি’


বিশ্বের বিপন্ন ভাষাগুলো সংরক্ষণ এবং তার ওপর গবেষণা করার গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‌‘বিশ্বে বিদ্যমান সব ভাষা সংরক্ষণের দায়িত্ব আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের। ভাষা সংরক্ষণে এই ইনস্টিটিউট অনেক অবদান রাখতে পারে। বিশেষ করে ভাষার ওপর গবেষণা করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এই গবেষণার ওপরই আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ‘অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভাষা সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অনেক অবদান রাখতে পারে। এখানে যে কেউ যে কোনো ভাষা শিখতে চাইলেও আসতে পারবেন। ভাষার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।’ 

এ পর্যন্ত আন্তজাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট বিশ্বের ১৬টি ভাষায় বহুভাষি পকেট অভিধান করার ব্যবস্থা নিয়েছে। পাশাপাশি মাতৃভাষা পিডিয়া তৈরির প্রকল্প গ্রহণ এবং ভাষা-সাহিত্যকর্ম, বাংলা অনুবাদ ও বঙ্গবন্ধুর ভাষা আন্দোলন শীর্ষক একটি প্রামান্য চিত্র বিভিন্ন ভাষায় করার উদ্যোগ নেওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শেখ হাসিনা ভাষার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩ জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের হাতে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা জাতীয় পদক’ এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আন্তর্জাতিক পদক’ তুলে দেন।

হাবিবুর রহমান ও রঞ্জিত সিংহকে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন ও উন্নয়নে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মহেন্দ্র কুমার মিশ্র ও মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অব ওয়ার্ল্ড সোসাইটি, ভ্যাঙ্কুভার, কানাডা আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। সোসাইটির পক্ষে এর সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম পদক গ্রহণ করেন।

শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার ইনচার্জ সুসান মারি ভাইজ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে গবেষণার জন্য ফেলোশিপ দেওয়ার ব্যবস্থা করা দরকার এবং সেজন্য  ফান্ড লাগলে আমি তার ব্যবস্থা করে দেবো। কারণ আমি সবসময় গবেষণায় বেশি জোর দেই। গবেষণা ছাড়া কোনো বিষয়েই উৎকষর্তা সাধন করা যায় না।’

তিনি বলেন, ‘আজ আমরা খাদ্যে যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি তা গবেষণারই ফসল এবং ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ একুশ বছর পর আবার সরকার গঠন করেই গবেষণায় গুরুত্ব আরোপ করে এবং বরাদ্দ দেয়। প্রথমে ১২ কোটি টাকা এবং পরবর্তী বাজেটে ১০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়।’ তিনি এ সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যখাতে অধিক গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন