২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



গত অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৫৫৫৬ কোটি ডলার

স্টাফ রিপোর্টার || ০৪ জুলাই, ২০২৩, ০৬:৩৭ এএম
গত অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৫৫৫৬ কোটি ডলার


২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় এসেছে। মূলত পোশাক রপ্তানির ওপর ভর করে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছে গত বছর। যা এর আগের অর্থবছরের (২০২১-২২) তুলনায় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।  রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এতথ্য জানা যায়। 

গত অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। এ সময়ে পোশাক রপ্তানির আয় দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানির আয় ছিল ৪ হাজার ২৬১ কোটি ৩১ লাখ ডলার। 

আলোচ্য সময়ে নিট পণ্যের (সোয়েটার, টি-শার্ট জাতীয় পোশাক) রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৫৬০ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ২ হাজার ৫৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে নিট পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩২১ কোটি ৪৩ লাখ ডলার।

বিদায়ী অর্থবছরে ওভেন পণ্যের (শার্ট, প্যান্ট জাতীয় পোশাক) রপ্তানি আয় আগের ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়েছে। ২ হাজার ১২০ কোটি ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ওভেন পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ১২৫ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের। ২০২১-২২ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। 

তবে সামগ্রিকভাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি আয় কিছুটা পিছিয়ে আছে। এ সময়ে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।  

পোশাক ছাড়া প্রধান রপ্তানি পণ্যের মধ্যে প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। এখাতের প্রবৃদ্ধি ২৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। ২০ কোটি ৯৮ লাখ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। তবে আলোচ্য সময়ে প্রধানতম রপ্তানি পণ্য চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, মাছ, কৃষিজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং রাসায়নিক পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে। 

২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২২ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। মাছ রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪২ কোটি ২২ লাখ ডলার, কৃষিজাত পণ্য ৮৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার, পাট ও পাটজাত পণ্য ৯১ কোটি ২২ লাখ ডলার এবং রাসায়নিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৩০ কোটি ৩০ লাখ ডলারের।

অন্যদিকে একক মাস হিসেবে গত অর্থবছরের সর্বশেষ মাস জুনে রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০৩ কোটি ১৫ লাখ ডলার, যা এর আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি।

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন