১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সরকার আন্তর্জাতিক খাদ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে যথাসময়ে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার সংকট নিরসনে সব পতিত জমি চাষের আওতায় আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
রোববার (২ জুলাই) গণভবনে জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রটারি জেনারেল আমিনা জে মোহাম্মদ সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে কোভিড-১৯ মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উদ্ভূত বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। বৈঠকে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সংকট উত্তরণে জোর দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ইহসানুল করিম বলেন, ‘বৈঠকে এসডিজি, জলবায়ূ পরিবর্তন, রোহিঙ্গা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রভাব এবং মহামারীর ক্ষতিকর প্রভাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’
এসময় আমিনা বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের প্রশংসা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বাড়ির ছাদে খাদ্য ও সবজির চাষের ওপরও গুরত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘সরকার কৃষি খাতে গবেষণাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। ইতোমধ্যে লবণাক্ত ও বন্যা সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে এবং সেগুলো আরও উন্নত করতে কাজ করা হচ্ছে।’
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারা আমাদের জন্য বড় বোঝা হয়ে উঠেছে। এটি সামাজিক সমস্যা তৈরি করেছে।’
আমিনা জে মোহাম্মদ বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ৫২টি দেশ এখন সংকটের দ্বারপ্রান্তে। আমাদের সম্মিলিতভাবে সংকট মোকাবিলা করতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’
ঢাকা বিজনেস/এইচ
