প্রকৃতিতে চলছে শীত ঋতু। বছরের বাকি সময় থেকে এই ঋতুতে সাবধানে থাকতে হয় একটু বেশিই। শীতকালে কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না; এই নিয়ে অনেকেরই ভুল ধারণা আছে।
শীতকালে অনেক কিছু করা না-করা নিয়ে অনেকে মনে করেন সানস্ক্রিন শুধু গ্রীষ্মে ব্যবহার করা উচিত, এটা সম্পূর্ণ ভুল। শীতকালে, সূর্য পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে থাকে, তাই এর রশ্মি ক্ষতির কারণ হয়। তাই শুধু গরমে নয়, শীতেও সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করুন।
শীতকালে আরও কয়েকটি কাজ করা নিয়ে অনেকের ভুল ধারণা আছে। যেমন
১। শীতকাল এলেই সর্দি-কাশি যেন জেঁকে বসে। অনেকেই সর্দি-কাশি হলে কলা খাওয়া বন্ধ করে দেন। তাদের ধারণা, এটি ঠাণ্ডা লাগা বাড়িয়ে দেবে। কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম। কলা শরীরে পানির অভাব পূরণ করে। দেহের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। একটি কলা শরীরে ১০০ ক্যালরি শক্তি জোগান দেয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, শীতে কলা খাওয়া যেতে পারে। এটি স্বাস্থ্যকর ও শক্তিদায়ক। তবে শীতের রাতে কলা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। চাইলে বিকেলে কলা খেতে পারেন। তবে, যদি কোনও ব্যক্তি সর্দি-কাশি বা অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হন, তবে ভুল করেও কলা খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি শ্লেষ্মা বা কফের সংস্পর্শে এলে জ্বালা সৃষ্টি করে।
২। শীতকালে ব্যায়াম করা ক্ষতিকর হতে পারে, এমনটা ভাবা একেবারেই ভুল। শুধু বাইরে যাওয়ার আগে, ঠাণ্ডা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সব ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩। শীতে অ্যালকোহল পান করলে শরীর গরম থাকে। আসলে এটি শরীরকে কিছুক্ষণের জন্য উষ্ণ রাখবে। তাই বলে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না। শরীরকে গরম রাখতে অ্যালকোহল পান করার কোনও প্রয়োজন নেই। বরং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকাটাই শ্রেয়।
৪। শীতকালে দীর্ঘ সময় ঘরের বাইরে থাকলে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এই ধারণাও ঠিক নয়। শীতের মৌসুমে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের কারণে সর্দি হয়। ঠান্ডায় বাইরে বের হওয়া থেকে নয়।
৫। শীতে অ্যালার্জি কম হয়। এটিও ভুল। শীতকালে সবাই ঘরের জানালা বন্ধ রাখে। ঘরে তাজা বাতাস প্রবেশ করতে পারে না। তাই এই ঋতুতে সবচেয়ে বেশি অ্যালার্জি হয়। তাছাড়া শীতে ধূলাবালির পরিমাণ বেড়ে যায়। যাদের ডাস্ট অ্যালার্জি আছে, তাদের সাবধানে থাকতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
ঢাকা বিজনেস/এন/