২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



বাড়ছে পানি, ভাঙছে নদী

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা || ২২ জুন, ২০২৩, ১১:০৬ পিএম
বাড়ছে পানি, ভাঙছে নদী


উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রসহ সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এতে হঠাৎ পানির স্রোত বেড়ে যাওয়ায় বেশ কিছু স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে নদী তীরের পরিবারগুলো। সম্প্রতি গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ভাঙন ও বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় দেড় শতাধিক চর রয়েছে। এসব চরে প্রায় ৫ লাখ মানুষ বসবাস করছেন। প্রত্যেক বছর বন্যা আর ভাঙনের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকা তাদের। এ বছরও সেই শঙ্কাই রয়েছেন। যদিও এখনো বন্যা দেখা দেয়নি, তবে ধীরে ধীরে পানি বাড়ছে নদীতে। এমনটা অব্যাহত থাকলে অল্প দিনের মধ্যে দেখা দিতে পারে বন্যা। প্লাবিত হতে পারে নিম্নাঞ্চল। ফলে বন্যা ও ভাঙন ঝুঁকিতে লক্ষাধিক মানুষের রাত কাটছে নির্ঘুমে। ভাঙনের কবলে তাদের বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা ঘরবাড়ি ও কৃষি জমি। 

গাইবান্ধা সদরের কুন্দেরপাড়া চরের আজগর আলী বলেন, ‘গত ৪ বছরে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে বাপ-দাদার ভিটেমাটি ছেড়ে ঠাঁই হয়েছে পাশের একটি চরে। অর্থাভাবে বসতি জায়গাটুকু উঁচু করতে না পারায় বন্যা ও ভাঙন ঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে।’

সুন্দরগঞ্জের তারাপুর এলাকার নজরুল ইসলাম জানান, তিস্তার তীরে তার বসবাস। এরই মধ্যে এই স্থানের একটু দূরে ভাঙন শুরু হয়েছে। এই ভাঙন না ঠেকানো হলে তার বাড়িও নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  

সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘এ উপজেলার গুয়াবাড়ি, দিঘলকান্দি ও পাতিলবাড়ি এলাকায় গত ৫ বছরে প্রায় ৮ হাজার পরিবার বসতভিটা হারিয়ে বিভিন্ন চরে আশ্রয় নিয়েছেন। চরাঞ্চলের মানুষ যাতে বন্যা ও ভাঙনমুক্ত থাকতে পারে, সেজন্য সরকার বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ও ক্লাস্টার ভিলেজ নির্মাণ করেছে।’

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ‘নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেলেও এখানো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে। সেইসঙ্গে নদ-নদী ভাঙন ঠেকাতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’  

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান বলেন, ‘বন্যা মোকাবিলায় আমাদের পুর্বপ্রস্তুতি রয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অবহিত করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ভাঙনের বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।’

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন