দরপতন
পোড়াবাসিন্দা—একা!
কীর্তন গাইয়ে—টাইয়ে মুকুটের আড়ালে মোচড়িয়ে
হাসফাঁস—
খেইহাড়া আহতবার্তা—সে দিনদুপুরের শিশুডাকাত!
অশ্রুগানে বিকেলের স্রোতে নদীরঙিন দিনগুলোর
বাসনা বিষিয়ে খোল নিচ্ছে—হৃদয়ের।
যে স্বামীরা ট্রিপলস্নাত কামনায়
তাহাদের নাম—পোড়াবাসিন্দা
তাহারা সন্ত্রাসগোত্রের—লম্ফঝম্প উড়ুক্কু!
দরপতনের দিনে—পাশের বাড়ির বৌয়ের উঁকিঝুঁকি
যখন নেঁতিয়ে আসে—তখন কোমরঅব্দি সুখ ছড়িয়ে যায়।
তখন এও উদগীরণ হয়—নৈঋত সুরে—কানার বাগিচায়।
ধরে নিন—বয়স্কের ধারাপাত হিস্ট্রি এক কাতারে
এসে এসে বলে গোমটা নামিয়ে রাখে—
লজ্জার মাথা খেয়ে। তবু এলো না।
তারপর খাওয়া যাক মদভেজা বিস্কিট—
তখনি ইউট্রান নিয়ে ঢুকে পড়ুন মোহনরাজের মায়াজালে।
এ যাবৎ দক্ষিণে এসে—দিশা হারিয়ে—কাকে চায় মায়াচান?
যে গেছে বদলে—মোহনরাজের দরপতনে!
যতটুকু বদলালে ধারণা পাল্টে যায়
আহা!
গালটুকু খুবলে নেওয়ার আগে—খুলে গেছে দরাজ রক্ত
নটির লটরপটর ভেস্তে গেছে—চমকহারা তাহার ভক্ত
তবু
পাতন হয়, নিশ্বব্দে—উচ্চারণ
তিনি এবং সে
০১.
তিনি অফিস যান মৃতের সংখ্যা জানাবেন বলে। তবে এনার এও মনে হয়—আগামীকাল অথবা পড়শু নিজের দেহ মৃতের সঙ্গে যুক্ত বা চ্যুত হতে পারে। তখন ভাবেন, আরেক 'তিনি'নিশ্চয়ই সেসব খবরাখবর লোকালয়ে জানাবেন।
০২.
মিথ্যাগুলো নঁথিকারে সাজিয়ে রাখছে সে। ও জানে 'দশচক্রে ভগবান ভূত'। অর্থাৎ সে এও জানে এ সকল নথি একদিন সত্যের ভগবান হয়ে দাঁড়াবে। এসব ভেবে—টেবে আরও কিছু মিথ্যা গুছিয়ে রাখছে সে...
বোমারু শ্রম
পা নামছে আড়াল হয়ে—কে কারে কত আঁকিলো ছবি—নিলাম তুলে,
দৃশ্যত তারা ফেটে গেছে আমোদের বয়ামে!
কামটাম যতো সব, সাদা সাতা দৃশ্যশূন্য এ আসর—
পাশেই বউঝি—
হা হা!
চোখের মুচকি হাসি—অন্তরীক্ষের তালে
হেসে হেসে রসেবসে ছিপটি খোলে...
বয়াম—অগোচরে, আলোপতনের পর লাফে লাফে রূপ রাঙায় রক্তের ঝালর—
হিমবাহ থেকে ধেয়ে আসা কৃষ্ণাঙ্গ শীতল ঝড়—
খুবলে নিয়ে গেছে কাঠঠোকরা—হৃদপিণ্ড।
রাঙাচ্ছে চোখ জমজ বুকে—লিকোচ্ছে জিব লালাজুড়ে—
এক বীভৎস ক্ষুরধার ঠোঁট তার!
কালো কালো সাদা সাদা—আদতে দৃশ্যশূন্য ড্রয়িংটেবিল।
ওপারের আসর—হৈ হুল্লোড়—করে-টরে
শ্রমণ চেতনায় জ্বলে ওঠে সাইরেন
উত্তরে ঘুরছে চলন্ত রাস্তা—নাচার ভঙ্গিতে
পরাণ যায় মাতৃগহ্বরে! নৈবেদ্য দেবে কে!
রয়ে গেছে গোঁজামিল প্রাচীন, যাচ্ছি বহুদূর—
সমুদ্র যেখানে জলীয়, ততদূর।
পীড়নে পীড়নে মন ফাটে—বয়াম গেলো কই!