২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



হিলিতে দাম বেড়েছে মাছ-মাংস-ডিমের, তবে...

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনজাপুর) || ১৩ জুন, ২০২৩, ০৩:০৬ পিএম
হিলিতে দাম বেড়েছে মাছ-মাংস-ডিমের, তবে...


দিনাজপুরের হিলিতে  মাছ, মাংস, ডিম ও দুগ্ধজাত খাদ্যের দাম বেড়েছে। তবে সোয়াবিন তেল, মসুরের ডালের দাম কিছুটা কমেছে।  সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, মাছ-মাংস-ডিমি কিনতে না পারায় পুঁইশাক, পটল, আলুসহ অন্যান্য শাক সবজির প্রতিই ঝুঁকছেন তারা। আর বিক্রেতারা বলছেন,  তারা চাষিদের কাছ থেকে যে-দামে কেনেন, তার চেয়ে কেজিতে ১০/২০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করেন।  মঙ্গলবার (১৩ জুন) হিলি বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। 

হিলি বাজারে বাচ্চার জন্য প্যাকেটজাত দুধ কিনতে এসেছেন মো. মোকলেছার রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে। তার জন্য প্রতিমাসে প্যাকেটজাত দুধ কিনতে হয়। গত মাসে ১ কেজি ওজনের  প্যাকেটজাত দুধ দুধ কিনি ৬০০ টাকা দিয়ে। আর আজ একমাস পর মঙ্গলবার ( ১৩ জুন) একই প্যাকেটজাত দুধ কিনলাম ৮০০ টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে প্যাকেটে ২০০ টাকা দাম বেড়েছে।’

খাসির মাংস কিনতে আসা শ্রী অনিল বসাক বলেন, ‘রোজার ঈদের আগে প্রতিকেজি খাসির মাংস ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।’ 

মাছ কিনতে আসা মো. আমির হোসেন বলেন, ‘মাছ আমিষ জাতীয় খাদ্য। ডাক্তাররা বলেছেন, মাছ দেহে পুষ্টির চাহিদা পূরন করে। কিন্তু দিনদিন মাছের দাম বেড়েই চলেছে। গতকাল ( ১২ জুন) মাঝারি সাইজের যে রুই মাছ কিনলাম ১৬০ টাকা কেজি দরে,  আজ ( ১৩ জুন) তার চেয়ে একটু বড় সাইজের মাছ কিনলাম ২০০ টাকা কেজি দরে। এভাবে প্রতিটি মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে চলেছে।’ 

ডিম কিনতে আসা মোছা. মোহসিনা বেগম বলেন, ‘গত সপ্তাহে প্রতি হালি (৪ টি) ডিম ছিল ৪৪ টাকা। আর আজ প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। তাই আমাদের মতো মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের আর নিরামিষ ছাড়া গতি নেই।’

এদিকে সয়াবিন তেল ও মসুরের ডাল বিক্রেতারা বলেন, ‘এই পণ্য দুটির দাম কিছুটা কমেছে। ১ মাস আগে প্রতিকেজি সয়াবিন তেল ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও এখন ১৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মসুরের ডাল ১০০ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।’

খাসির মাংস বিক্রেতা মো. এনামুল হক বলেন, ‘খাসি কিনতেই দাম বেশি পড়ছে। ৯০০ টাকার নিচে কেজি বিক্রি করলে আমাদের কোনো লাভই থাকবে না। তারপর আছে কর্মচারীর খরচ। ’

একই ধরনের কথা বলেন মাছ বিক্রেতরা আব্দুল কুদ্দুস ও ডিম  বিক্রেতা মো. মাসুম মিয়া। তারা ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমরা বেশি লাভ করি না। কর্মচারীর খরচ, নিজের সংসার খরচ চালানোর মতো লাভ করেই পণ্যগুলো বিক্রি করি।’ তবে তারা স্বীকার করেন, ‘দাম বেশির কারণে বিক্রি অনেকটা কমে গেছে।’ 

 ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন