২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



১৪ বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা বিজনেস রিপোর্ট || ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৬:৪২ পিএম
১৪ বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গত ১৪ বছরে দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এসব ধারাবাহিক উন্নয়নের মধ্যদিয়ে আগামী ২০৪১ সালে উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্টের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের নতুন সংযোজন মেট্রোরেল। মেট্রোরেল পরিচালনার জন্য আমরা স্মার্ট জনশক্তি গড়ে তুলবো।’

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১১টায় মেট্রোরেলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মেট্রোরেলে নারীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আলাদা কোচ রাখা হয়েছে। নারীদের চলাচল নিরাপদ করতেই এই ব্যবস্থা। শিশুদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা থাকবে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা ফ্রি যাতায়াত করতে পারবেন।

সরকার প্রধান বলেন, ‘এরই মধ্যদিয়ে রাজধানীতে যোগাযোগ সুবিধার একটি নতুন দ্বার খুলে গেলো। যাত্রীদের আর জ্যামে ভুগতে হবে না। মেট্রোরেলের বাকি কাজও শেষ হচ্ছে।’

এদিকে, এ ট্রেনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে গত ১২ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। এসময় তিনি জানান, শুরুতে ছয় বগির ১০টি ট্রেন প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। ব্যাকআপ হিসাবে থাকছে আরও দুটি ট্রেন। এসব ট্রেনের একটি কোচ কেবল নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এই কোচের সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ৩৯০ জন। চাইলে বাকি পাঁচ বগিতেও নারীরা উঠতে পারবেন।

স্টেশনগুলোতে নারীদের জন্য থাকছে পৃথক টয়লেটের ব্যবস্থা। সেখানে শিশুদের ডায়াপার পরিবর্তনের বিশেষ ব্যবস্থাও থাকছে। আর গর্ভবতী নারী ও বয়স্ক যাত্রীদের জন্য বগিতে আসন সংরক্ষিত থাকবে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ছুটবে দেশের প্রথম এই বৈদ্যুতিক ট্রেন। প্রথম ধাপে চলবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার পথ। এই পথে একবার চলতে মেট্রোরেল সময় নেবে ২০ মিনিট। তবে পূর্ণমাত্রায় চালু হলে এই সময় কমে আসবে ১৬-১৭ মিনিটে। সর্বনিম্ন ভাড়া ধরা হয়েছে ২০টাকা। 

উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের ৯টি স্টেশন থাকছে, যার মধ্যে আছে- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও। 

মেট্রোরেল নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সর্বশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি মেট্রোরেল সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে। ভাড়া প্রতি কিলোমিটার ৫ টাকা, তবে সর্বনিম্ন ভাড়া গুনতে হবে ২০ টাকা। শুরুতে টিকেট কেবল স্টেশনের কাউন্টার থেকে এমআরটি পাস ইস্যু করা হবে এবং সেটা রিচার্জ করা যাবে।

ডিএমটিসিএল কর্মকর্তারা জানান, প্রথমদিকে স্টেশনের কাউন্টার কিংবা টিকেট বিক্রয় মেশিন থেকে নির্দিষ্ট যাত্রার টিকেট (সিঙ্গেল জার্নি টিকেট) কেনা যাবে। এছাড়া স্টেশনের কাউন্টার থেকে এমআরটি পাস ইস্যু করা হবে এবং সেটা রিচার্জ করা যাবে।

পরে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস দিয়েও এমআরটি পাসের টাকা রিচার্জ করা সম্ভব হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন