গত ২৪ নভেম্বর কারাগারে থেকে চূড়ান্ত বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে পুলিশি বাধায় সে সমাবেশ সফল করতে পারেনি তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। নেতাকর্মীদের ব্যাপক গ্রেপ্তারের মুখে কর্মসূচি বাতিল করে পিটিআই। বিক্ষোভের পর নতুন করে বিপদে পড়েছেন ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বহুল আলোচিত প্রতিবাদের এক দিন পর দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আটটি মামলা করা হয়েছে। ইসলামাবাদ পুলিশ এ মামলা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বানের পর পুলিশ এ মামলা করেছে।
গত বুধবার ফেডারেল মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আমরা পাকিস্তানকে বাঁচাবো নাকি বসতে দেবো। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর এসব মামলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাহজাদ টাউন, সিহালা, খান্না, শামস কলোনি, নুন, নিলোর, তরনল, বানিগালাসহ বিভিন্ন থানায় এসব মামলাগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি দায়ের করা এসব মামলায় ইমরান খান ছাড়াও তার স্ত্রী বুশরা বিবি এবং পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নাম রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলেন আলি আমিন গন্দাপুর, সালমান আকরাম রাজা এবং শেখ ওয়াকাস আকরাম। এছাড়াও এসব মামলায় হাজার হাজার নেতাকর্মীর নাম রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নেতাকর্মীদের শেষ পর্যন্ত লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ তার মুক্তির আহ্বান জানানো বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন করেছে।
বিক্ষোভকারীরা নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট চুরি, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি এবং সংবিধানের সংশোধনী বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সত্যিকারের স্বাধীনতা ও পাকিস্তানের টিকে থাকার জন্য তাদের এ সংগ্রাম।