আজ ১২ পৌষ, ১৪২৯। প্রকৃতিতে চলছে শীতকাল। রাজধানীতে তেমন শীত না পড়লেও গ্রামাঞ্চলে চলছে শীতের কিছুটা তাণ্ডব। উত্তরে শৈত্যপ্রবাহও শুরু হয়েছে কিছু কিছু অঞ্চলে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও খবর পাওয়া গেছে বিভিন্ন জেলায়। এরই মধ্যে আজ (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীতে ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। হালকা শীতমাখা পৌষের বৃষ্টি উপভোগ করলো রাজধানীবাসী।
“বিন্দু বিন্দু শিশির কণা সবুজ ঘাসের পরে,
ঝিকি মিকি মুক্তা হেসে মনটা পাগল করে।
দিকে দিকে ঠাণ্ডা বাতাস জাগায় শীহরণ,
সরিষা ফুলে মৌমাছি করে মধু আহরণ।”
সকালের এক পশলা বৃষ্টি হলেও স্বাভাবিক কর্মে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। বিশেষ করে রিকশাওয়ালারা ভিজেছে এই বৃষ্টিতে। পথবাসীরাও হঠাৎ বৃষ্টিতে ঘুমের মধ্যেই হয়তো কাকভেজা। তবে, ঘুমপ্রিয়রা সকালের বৃষ্টি উপভোগ করেছেন বেশ।
এদিকে, বৃষ্টির পর প্রকৃতিতে কুয়াশা খানিকটা বেড়ে গেছে। সড়কে পথ চলতে কোনো কোনো গাড়িকে হেডলাইট জ্বালাতে হয়েছে।
বৃষ্টির পূর্বাভাস কয়েকদিন আগে থেকেই দিয়ে আসছিল আবহাওয়া অফিস। সোমবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা/গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এই বৃষ্টিতে শীতের অনুভূতি আরো বাড়বে। মাসের শেষের দিকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। সে সময় দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
এর আগে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সিলেটে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আরও দুইদিন বৃষ্টিপাতের এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানায় সংস্থাটি।