০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বুধবার



ইউটিউবে ভিডিও দেখে কচু চাষ করেন সাকিল

শরীয়তপুর সংবাদদাতা || ২৯ মে, ২০২৩, ১১:৩৫ এএম
ইউটিউবে  ভিডিও দেখে কচু চাষ করেন সাকিল


কচু অনেক পুষ্টিকর ও ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ একটি উৎকৃষ্টমানের খাদ্য। কচুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন। নিয়মিত কচু রান্না করে খেলে ‘রাতকানা’ রোগ হয় না। অনেক সময় ‘রাতকানা’ লোকের চোখে জ্যোতি আসে।

চৈত্র মাসে কচুর চাষ করা হয়। আষাঢ় মাসে কচুর ফলন আসে। সারিবদ্ধভাবে আঁটি করে বীজ বপনের পর এর থেকে চারা বের হয়। চারার গোড়ায় মাটি দিয়ে নিড়ানি দিতে হয়। নিড়ানি শেষে মাটি দেয়ার পর কিছু ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিতে হয়। এই লতিরাজ কচুর জন্য কচুরিপানা কম্পোস্ট সার হিসেবে বেশি উপযোগী।

শরীয়তপুর সদর উপজেলা শৌলপাড়া ইউনিয়ন চর চিকন্দী গ্রামের মো. আলী আশরাফ মাতুব্বর ছেলে মো. সাকিল আহম্মেদ ইউটিউবে ভিডিও দেখে ৫০ শতাংশ জমিতে  লতিরাজ কচু ও ৩০ শতাংশ জমিতে পেঁপে  চাষ শুরু করেন। করোনা মহামারিতে বেকার হয়ে পড়ায় নিজ উদ্যোগে ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে নিজের পতিত জমিতে লতিরাজ কচু ও পেঁপে চাষ শুরু করেন সাকিল আহম্মেদ। 

৫০ শতাংশ জমিতে লতিরাজ কচু চাষ করতে প্রথমে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা ও ৩০ শতাংশ জমিতে পেঁপে চাষ করতে খরচ হয় ২০ হাজার টাকা তার সাথে রয়েছে মৌসুমি সবজি বেগুন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাবা মো. আলী আশরাফ ও সাকিল আহম্মেদ কচু গাছ থেকে লতি তুলছেন। বর্তমান বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে 'কচু' আর পেঁপে ৩০ টাকা কেজি। প্রতিদিনই ২০ থেকে ২৫ কেজি লতিরাজ কচু  বিক্রি করেন সাকিল আহম্মেদ। 

সাকিল আহম্মেদ ঢাকা বিজনেস কে বলেন, 'আমি করোনা মহামারি সময় একটা চাকরি করতাম প্রাইভেট কোম্পানিতে। করোনার কারণে আমার চাকরি চলে যায়। কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। একদিন ইউটিউবে ভিডিও দেখলাম, অল্প খরচে কচু চাষ করলে লাভবান হওয়া যায়। তাই আমি প্রথমে যশোর থেকে লতিরাজ কচু'র চারা আনি। আমি যেই জমিতে চাষ করছি সেই জমিটি আগে শুধু ঘাস ছাড়া অন্য কিছু হতো না। এখন সেই জমিতে লতিরাজ কচু চাষ করতেছি। কিছু দিন ধরে লতি তুলতে শুরু করেছি।  এতে আমি লাভবান হবো ইনশাআল্লাহ। কৃষি অফিস থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমি আমার চেষ্টায় সব কিছু করছি।' 

লতিরাজ কচুর নাইল আরেক উৎকৃষ্টমানের খাদ্য। এর স্বাদই আলাদা। লতিরাজ কচু মাছ দিয়ে রান্না করে খাওয়া যায়। বিশেষ করে ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না করলে তার স্বাদ হয় অপূর্ব।

সাকিল আহম্মেদের বাবা ঢাকা বিজনেস কে বলেন, 'আমার ছেলে চাকরি হারিয়ে হঠাৎ একদিন আমাকে বলে এই জমিতে লতিরাজ কচু চাষ করবে। আমি প্রথমে রাজি ছিলাম না। পরে দেখি এই কচু চাষ করলে ভালো দাম পাওয়া যায়। তাই আমি আমার ছেলের সাথে কাজে সহযোগিতা করি, এতে করে কিছু খরচ কম হয়। আশা করি, কচু ও পেঁপে থেকে প্রতি বছর ভালো আয় করতে পারবো। 

ঢাকা বিজনেস/সাইফ/এন/  



আরো পড়ুন