জ্যৈষ্ঠের তীব্র তাপদাহে নরসিংদীতে তালের শাঁসের কদর বেড়েছে। গরমে একটু স্বস্তি পেতে সাধারণ মানুষের কাছে এখন জনপ্রিয় মধুমাসের এই ফল। আম, জাম, লিচু, আনারসসহ বিভিন্ন ফলের সঙ্গে বাজারে উঠেছে তালের শাঁস। সুলেভ মূল্য ও অন্যান্য ফলের মতো পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় গরমে এই ঠাণ্ডা জাতীয় মৌসুমি ফলের কদর দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সহজলভ্য ও মুখরোচক হওয়ায় বিভিন্ন বয়সী মানুষের পছন্দের তালিকায় রয়েছে এটি। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এর বেশিরভাগ অংশ জলীয় হওয়ায় এটা খেলে শরীরে পানিশূন্যতা দূর হয়। তালের শাঁস যেমন সুস্বাদু ও পুষ্টিকর তেমনি পাঁকা তাল ও তালের পিঠা গ্রাম বাংলার সুস্বাদু ও জনপ্রিয় খাবার।
সরজমিনে দেখা গেছে, নরসিংদীর সদর,পলাশ, রায়পুরা, শিবপুর, বেলাব ও মনোহরদীসহ সব উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে, রাস্তার মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শাঁস বিক্রি চলছে জমজমাট ভাবে।কদর থাকায় বিক্রেতারাও মৌসুমি এ ফল বিক্রি করে আয় করছেন বাড়তি টাকা।রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে, বাসস্ট্যান্ড, কোর্ট চত্ত্বর ও রেলওয়ে স্টেশনের পাশের বেশি পাওয়া যাচ্ছে। অনেক বিক্রিতা আবার ভ্যানগাড়ীতে ঘুরে ঘুরে তালশাঁস বিক্রি করছেন।
বাজারে গোটা তালশাঁস বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। এক একটি তালের ভেতরে তিন-চারটি আঁটি বা শাঁস থাকে। শাঁস বিক্রেতারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে মালিকদের থেকে ছোট বড় মিলিয়ে একসঙ্গে পাইকারি দামে কেনেন। প্রতিটা গাছে গড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ তাল হয়ে থাকে ।
নরসিংদী শিক্ষাচত্ত্ব মোড়ের শাঁস বিক্রেতা শাহিন মিয়া জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারি দামে শাঁস কিনে ভ্যান গাড়ী দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে থাকি। চাহিদা থাকায় বেচা বিক্রি অনেকটাই ভালো হচ্ছে। কেউ দুই-একটা কিনে খাচ্ছেন আবার অনেক পরিবারের জন্য বেশি করে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
শাঁস ক্রেতা আশিকুর রহমান বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার তাল শাঁসের দাম অনেকটাই বেশি। তারপরেও মৌসুমি ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় প্রতিদিনই কম বেশি খাওয়া হচ্ছে।
নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ মোড় ভ্যানে করে শাঁস বিক্রি করেন খলিল মিয়া। তিনি জানান, প্রতিটি শাঁস তিনি ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তিনি আরও জানান, সব গাছে তাল শাঁস ধরছে এমন গাছ কমই পাওযা যায়। ফলে বিভিন্ন স্থান থেকে খুঁজে খুঁজে তালের শাঁস সংগ্রহ করেন। নিদিষ্ট স্থানে না হওয়ায় শাঁস আনতে পরিবহন খরচ বেশি পরে। এতে একটু বেশি মূল্যে এ মৌসুমী ফল বিক্রি করতে হচ্ছে।
ঢাকা বিজনেস /এমএ