ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র সম্ভাব্য বিপদ সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে মোংলা সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরে নিজস্ব সতর্ক সংকেত এলার্ট-২ জারি করা হয়েছে। বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, বন্দররের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। শনিবার (১৩ মে) বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মাদ শাহীন মজিদ এসব তথ্য জানান।
শাহীন মজিদ বলেন, ‘বন্দরে নিজস্ব সতর্ক সংকেত এলার্ট-২ জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্দরে থাকা জাহাজগুলেকে নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হয়েছে। শুক্রবার থেকেই লাইটার জাহাজগুলো নিরাপদ স্থানে যেতে শুরু করেছে। দুপুর পর্যন্ত বন্দরে অবস্থানরত কয়েকটি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বন্দর এলাকায় এই মুহূর্তে ৭টি বিদেশি জাহাজ ও ১১টি দেশি জাহাজ রয়েছে। এসব জাহাজ ও জাহাজের পাশে অবস্থান করা পণ্য নিতে আসা ছোট লাইটার, বার্জ ও কোস্টারগুলোকেও নিরপাদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।’
বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘দুর্যোগ পরিস্থিতিতে বন্দরের একটি নিজস্ব সতর্ক সংকেত ব্যবস্থা রয়েছে। এটি সর্বোচ্চ ৪ পর্যন্ত উঠতে পারে। বর্তমানে বন্দরে ২ নম্বর এলার্ট চলছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’ সতর্ক সংকেত এ্যালার্ট-৩-এ পৌঁছালে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করা হবে বলেও জানান তিনি।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি চট্টগ্রাম ও মিয়ানমারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মোংলায় ৪ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত জারি রয়েছে।’’
এদিকে, মোখার প্রভাবে মোংলার পশুর নদী দিয়ে সুন্দরবনের করমজলসহ বিভিন্ন এলাকায় ট্যুরিস্ট ট্রলার বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা বিজনেস/বাপ্পা/এন/