২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



হিলিতে চাষির মুখে হাসি ফোটালো সোনালি ধান

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ০১ মে, ২০২৩, ১২:৩৫ পিএম
হিলিতে চাষির মুখে হাসি ফোটালো সোনালি ধান


দিনাজপুরের হিলিতে আগাম ইরি-বোরো ক্ষেতে দুলছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। শুরু হয়েছে বোরো ধানের কাটা-মাড়াই। ভালো ফলন ও দাম ভালো থাকায় খুশি ধানচাষিরা। তারা বলছেন, গেলো বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। দামও বেশ ভালো। উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ভালো ফলনের পাশাপাশি দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকেরা। 

পালপাড়া গ্রামের কুষক মো, রফিকুল ইসলাম বলেন,  ‘যেসব কৃষক আগাম ধান রোপণ করেছেন, তারা প্রথমদিকে ধান কাটা শুরু করেছেন। গেলো বছরের চেয়ে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতিবিঘা (৩৩ শতক) জমিতে ধান উৎপাদন হয়েছে গড়ে ২২ মণ। ’

ছাতনী গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবি   জমিতে জমি চাষ, বীজ, সার, পানি, কাটা মাড়াই সবমিলিয়ে খরচ পড়েছে ১৬ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা। প্রতিবিঘায় ধান হচ্ছে ২০ থেকে ২২ মণ।  বর্তমানে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। সেই হিসাবে প্রতিবিঘার ধান বিক্রি হচ্ছে প্রায় ২২ হাজার টাকায়। এতে উৎপদন খরচ বাদ দিয়ে প্রতিবিঘায় প্রায় ৪ হাজার টাকা লাভ থাকছে।’

জালালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, ‘আমি এবার ৫ বিঘা জমিতে ইরি চাষ করেছি। কিন্তু অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার পানি, সার, কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরি বেশি। তাই উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে। বিঘাপ্রতি ধান হচ্ছে এলাকাভেদে ১৮ থেকে ২২ মণ।  আর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। এতে কোনো মতে উৎপাদন খরচ উঠে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা টিকতে পারে।’

হরিহরপুর গ্রামের মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ৫০ শতকে বিঘা।  চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে প্রতিবিঘায় ( ৫০) শতক জমিতে উৎপাদন খরচ পড়েছে ২৫ থেকে থেকে ২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। ধান হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৪ মন পর্যন্ত। আর বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৪  হাজার টাকা। এতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রতিবিঘা জমিতে লাভ থাকছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত।’

মুহাড়া গ্রামের  মিলন মিয়া বলেন, ‘আমি নিজের ৬ বিঘা জমিতে এবার ইরি ধান চাষ করেছি। জমি চাষ, বীজ, সার, ওষুধ, আগাছা পরিষ্কার, কাটা, মাড়াই; সব খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি (৩৩ শতক) ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা টিকতে পারে।’

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আরেজনা বেগম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলা ১ পৌরসভা ও ৩ ইউনিয়নের ৭ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। আর আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৫৯৫ হেক্টর জমিতে। মাঠে বোরো ধানের ফলন এখন পর্যন্ত ভালো আছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চাষিরা কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।’

 ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন