দেশের মোট জনসংখ্যার নতুন তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বর্তমানে দেশে মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।
রোববার (৯ এপ্রিল) জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ পিইসি জরিপের আলোকে সমন্বয়কৃত জনসংখ্যা সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, পিইসিতে (পোস্ট ইনিউমারেশন চেক) ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন যোগ হয়ে দেশের সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যা দাড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জন এবং নারী ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২০ জন। এছাড়া হিজড়া ১২ হাজার ৬২৯ জন। মোট জনসংখ্যার ৬৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ গ্রামে এবং ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ শহরে বাস করে।
আরও বলা হয়, গত বছরের ১৫ থেকে ২১ জুন দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। শুমারি শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে ২৭ জুলাই প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে দেশের গণনাকৃত মোট জনসংখ্যার হিসাব দেওয়া হয়। পরিসংখ্যানিক পদ্ধতি ও আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী শুমারি সম্পন্নের পর গণনাকালে সৃষ্ট কভারেজ ও কনটেন্ট এরর নিরূপণের জন্য বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) গত বছরের অক্টোবরে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে শুমারি পরবর্তী যাচাই পিইসি জরিপ পরিচালনা করে।
সংবাদ সম্মেলনে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন শুমারিতে গণনাকৃত ও পিইসির মাধ্যমে সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যার তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে বিবিএস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিজনেস/এইচ