২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার



তথ্যমন্ত্রী
প্রিন্ট

জিয়াউর রহমান দেশে মার্শাল ডেমোক্রেসি চালু করেছিলেন: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ০৮ এপ্রিল, ২০২৩, ১০:৩৪ এএম
জিয়াউর রহমান দেশে মার্শাল ডেমোক্রেসি চালু করেছিলেন: তথ্যমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)


বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সংসদের পথচলা বার বার হোঁচট খেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংসদ বাতিল করা হয়েছিল।  সংসদীয় গণতন্ত্র বাতিল করে তখন সামরিকতন্ত্র চালু করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে সংসদ নির্বাচনের পর প্রকৃতপক্ষে মার্শাল ডেমোক্রেসি চালু করেছিলেন।’

শনিবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনিত প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন, যে ব্যক্তি পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের ডেপুটি লিডার হিসেবে জাতিসংঘে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে বলেছেন ‘তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কোন গণহত্যা হচ্ছে না, ভারতীয় চররা, ভারতের দোসররা কিছু গণ্ডগোল করছে মাত্র’১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনের পর তাকে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী বানানো হয়েছিল।”

ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে ১৯৮৮ সালে প্রধান দলগুলোবিহীন একটি নির্বাচন করে তখন আ স ম রব সাহেবকে গৃহপালিত বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়ে সংসদকে হাস্যকর স্থানে পরিণত করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোটবিহীন নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল রশীদকে বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়ে সংসদকে কলঙ্কিত করেছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই সংসদে বিভিন্ন সময় বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল ও অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করেছেন, যেভাবে সংসদের মাইক, খাতাপত্র, বইপত্র ছুড়েছেন, এতেও সংসদের মানমর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক হলো ২০০৭ সালে এই সংসদের স্পিকারের বাসভবন, চিফ হুইপের বাসভবনকে কারাগারে রূপান্তর করা হয়েছে।  এই সংসদে  শেখ হাসিনা, যিনি প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা, বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তার বিচারের জন্য এখানে আদালত বসানো হয়েছে। একইসঙ্গে খালেদা জিয়া যিনি প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন, তার বিচারের জন্যও এখানে আদালত বসানো হয়েছে। এভাবে এই সংসদ চত্বরকে, সংসদকে কলঙ্কিত করা হয়েছিল। এটি স্পষ্টত সংসদকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য, সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করার জন্য, গণতন্ত্রকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ২০০৭ সালে ঢাকা শহরে এত জায়গা থাকার পরও এখানে আদালত বসানো হয়েছিল। এখানে কারাগার বানানো হয়েছিল। সেই কাজটি যারা করেছিলেন, তারা দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। সংসদের ৫০ বছর পূর্তিতে বলতে চাই,  যারা এই কাজটি করেছিলেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন কি না, সেটি ভেবে দেখা প্রয়োজন।’ সূত্র: বাসস

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন