২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



অর্থনীতি
প্রিন্ট

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে যা বললো বিশ্বব্যাংক

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ০৪ এপ্রিল, ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে যা বললো বিশ্বব্যাংক


বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনীতির কারণে করোনা থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার হয়েছে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংক। আন্তর্জাতিক এই আর্থক সংস্থাটির  মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ, জ্বালানি চাহিদা, ব্যালান্স অব পেমেন্ট ও রাজস্ব ঘাটতিসহ উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংক থেকে প্রকাশিত ‘বাণিজ্য সংস্কার : একটি জরুরি এজেন্ডা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

 প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  বাণিজ্য সংস্কার ও রপ্তানি বহুমুখীকরণসহ কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে পারলে, তা বাংলাদেশকে বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে। বাংলাদেশে একটি টেকসই গতিশীল প্রবৃদ্ধি মাঝারি মেয়াদ জুড়েই ত্বরান্বিত হতে থাকবে।  ২০২৩-২৪ অর্থবছরে  প্রবৃদ্ধি ৬.২ শতাংশে উঠবে বলেও বিশ্ব ব্যাংকের এই প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬.৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসে প্রতিবেদন প্রকাশের সময় বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল্লায়ে সেক বলেন, ‘ইউক্রেনে রুশ অভিযান ও বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা বিশ্বব্যাপী দেশগুলোতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ক্রমবর্ধমান সুদের হার ও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতির কারণে বাংলাদেশের মহামারী পরবর্তী পুনরুদ্ধার ব্যাহত হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত ও টেকসই অর্থনীতি জোরদার করতে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সংস্কারে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, পণ্যের উচ্চমূল্য মূল্যস্ফীতির চাপের কারণ। ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ঘাটতি চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ৭.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছে। একটি মাল্টিপল এক্সচেঞ্জ রেট সিস্টেমের কারণে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট  রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহের ওপর নেতিবাচক চাপ ফেলে। 

অন্যদিকে, একক বাজার-ভিত্তিক বিনিময় হারের দিকে অগ্রসর হলে, এই বৈদেশিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে। অভ্যন্তরীণ ব্যাংকগুলো কঠোর তারল্য এবং ক্রমবর্ধমান নন পারফর্মিং ঋণের সঙ্গে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। দেশীয় ব্যাংকগুলো থেকে উচ্চতর অর্থায়নের ফলে আর্থিক ঘাটতি চলতি অর্থবছরে বিস্তৃত হয়েছে। রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য বাণিজ্য প্রতিযোগিতার উন্নতি, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উচ্চ-মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। সূত্র: বাসস

ঢাকা বিজনেস/এনই/




আরো পড়ুন