খেজুর, সুস্বাদু আর গুণে ভরপুর। মিষ্টি এ ফলের আদিনিবাস পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোয়। খেজুর গাছ সবচেয়ে ভালো জন্মে মরু অঞ্চলে। গাছ থেকে এই ফল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৪ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত। একটি পূর্ণাঙ্গ খেজুর গাছ থেকে প্রতি মৌসুমে গড়ে ৮০-১২০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত খেজুর পাওয়া যায়।
খেজুর মানবদেহের জন্য উপকারী। মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র মাহে রমজানে ইফাতারে তাই অন্যতম এক বিশেষ খাবারের জায়গা দখল করে খেজুর। কারণ, খেজুরে আছে বিশেষ গুণ। প্রাকৃতিক এ শক্তির উৎস রোজাদারদের জন্য আদর্শ এক খাবার। চলুন, জেনে নেই খেজুরের উপকারিতা-
১. খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, জিঙ্ক ও আয়রন। খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
২. খেজুরে মিলবে ফাইবারও। তাই এই ফল ডায়েটে রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে।
৩. প্রতিটি খেজুরে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম। এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৪. রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগীরা প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন, তার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করে খেজুর।
৫. যারা চিনি খান না তারা খেজুর খেতে পারেন। চিনির বিকল্প খেজুরের রস ও গুড়।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় রাতে পানিতে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে খেজুর ভেজানো পানি পান করুন। দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য।
৭. খেজুরে থাকা নানা খনিজ হৃদস্পন্দনের হার ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৮. খেজুরে লিউটেন ও জিক্সাথিন থাকায় তা রেটিনা ভালো রাখে।
৯. খেজুরে আছে ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক, যা রক্তে শর্করার পরিমান বাড়ায়।
১০. খেজুরে থাকা ভিটামিন বি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
ঢাকা বিজনেস/এন/