দিনাজপুরের হিলি বাজারে রমজান উপলক্ষে বাজারমূল্যের চেয়ে ৭৫ টাকা কমে ৬২৫ টাকা দরে গরুর মাংস বিক্রি করছেন আব্দুল লতিফ। পৌরসভার চুড়িপট্রি মোড়ে প্রতিদিন একটি করে গরু জবাই করে বিক্রি করেন তিনি।
মাংস বিক্রেতা লতিফ বলেন, ‘রমজানের আগে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকা করে বিক্রি করেছি। এবার রমজান মাস উপলক্ষে তার চেয়েও কেজিতে ২৫ টাকা কমিয়ে ৬২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। দুপুরের আগেই সব মাংস শেষ হয়ে যায়। আর বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা। এদিকে বাজারমূল্যের চেয়ে কেজিতে ৭৫ টাকা কম দামে মাংস কিনতে পেরে ক্রেতারাও খুশি।’
বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে চুড়িপট্রি মোড়ে গিয়ে মাংস বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
মাংস কিনতে আসা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘হিলি বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা। আর চুড়িপট্রি মোড়ে লতিফ বিক্রি করছেন ৬২৫ টাকা কেজি দরে। তাই মানুষ এখানে ভিড় করছেন। আমিও ২ কেজি কিনলাম। এতে বাজারের চেয়ে ১৫০ টাকা সাশ্রয় হলো।’
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমার বাড়ির সামনেই আব্দুল লতিফ দীর্ঘদিন ধরে মাংস বিক্রি করে আসছেন। প্রতিদিন সকালে গরু জবাই করেন। দুপুরের মধ্যেই তার মাংস শেষ হয়ে যায়। তিনি সবসময় কেজিতে বাজার মূল্যের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা কম দামে বিক্রি করেন।’
আব্দুল লতিফ ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরে কৃষকদের বাড়ি থেকে গরু কিনে আনি। এতে গরু কিনতেই দাম একটু কম পাই। কেউ গরু বিক্রি করবে শুনলেই ছুটে যাই তার বাড়িতে। গরুর মালিককে বোঝানোর চেষ্টা করি। দালাল যে কমিশন খাবে, মনে করেন সেই টাকাটা আমি গরুর দাম কম দিলাম। আমার বাড়িতে সবসময় ১০-১২টি গরু থাকেই। বাজারের সব মাংস বিক্রেতা ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। আর আমি পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে প্রথম রোজার দিন থেকেই ৭৫ টাকা কমে ৬২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই রোজার মাসে মাংস বিক্রি করে গরুর দামটা উঠে। আর গরুর মাথা, ভুড়ি ও গরুর পা বিক্রি করে যা লাভ হয়, তা থেকে শ্রমিক খরচ বাদ দিয়ে যে কয় টাকা থাকে সেটাই লাভ। গরুর আকৃতি হিসেবে কোনো গরুর মাথা ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা, ভুড়ি ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা ও গরুর চারটি পা ১০০০ টাকা করে বিক্রি করি। গোটা রোজার মাসে এলাকাবাসীকে সেবা দিতে আমি ৬২৫ টাকা কেজি মাংস বিক্রি করবো।’
ঢাকা বিজনেস/এম