২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



জানা-অজানা
প্রিন্ট

শত্রু কমানোর কয়েকটি টিপস

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৬:৩২ পিএম
শত্রু কমানোর কয়েকটি টিপস


বাস্তবিক অর্থে মানুষের শত্রু থাকা অস্বাভাবিক বিষয় নয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে, আমরা কাজ বা কথায় নিজেই নিজের শত্রু বানিয়ে ফেলি। দেখা যায়, এক সময়ের খুব ভালো বন্ধু, কোনো কারণে কথা কাটাকাটি হলো, আর সেই ভালো বন্ধু শত্রু হয়ে গেলো। এই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে শত্রু বানিয়ে ফেলা থেকে নিজেকে বিরত রাখা যায়। চাইলে নিজের শত্রুসংখ্যাও কমানো যায়। কিন্তু, কিভাবে কমাবেন শত্রুসংখ্যা? কিভাবেই বা নতুন শত্রু বানানো থেকে বিরত রাখবেন নিজেকে? চলুন, জেনে নেই কিছু উপায়: 

১. কথায় আছে, বোবার শত্রু নেই। তাই, চেষ্টা করুন কথা কম বলার। যেখানে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই বলুন। চেষ্টা করবেন অপ্রয়োজনীয় কথা না বলার। 

২. অনেকেই যেখানে সেখানে তর্কে জড়িয়ে যান। এই বিষয়টি থেকে বিরত থাকতে হবে। যেখানে-সেখানে যার-তার সঙ্গে তর্কে জড়ালে শত্রু বাড়বে বৈ কমবে না। 

৩.কথার মধ্যে কথা বলা অনেকের অভ্যাস বটে। তবে, নিজের শত্রুসংখ্যা কমাতে চাইলে না বুঝে অন্যের কথার মাঝখানে ঢুকে যাওয়া যাবে না।  

৪. বই পড়ার অভ্যাস যাদের আছে, তাদের অভিনন্দন। যাদের বই পড়ার অভ্যাস আছে, তাদের শত্রুসংখ্যা কম। তাই, বই পড়ার অভ্যাস না থাকলে আজ থেকেই শুরু করে দিন। 

৫. দাম্ভিক ও অহংকারী মানুষের শত্রু সংখ্যা নেহাত কম নয়। শত্রুসংখ্যা কমাতে চাইলে ও নতুন শত্রু বানাতে না চাইলে দাম্ভিকতা ও অহংকারী মনোভাব পরিহার করুন।

৬. অনেকেই কথা বলার সময় বিপরীতে থাকা মানুষকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। কিন্তু, এই কাজটি করা উচিত নয়। ভুলেও কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না। 

৭. হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলার অভ্যাস অনেকেরই আছে। কিন্তু, শত্রুসংখ্যা কমাতে চাইলে কাউকে হেয় করে কথা বলা যাবে না। 

৮. কারও প্রিয় জিনিস নিয়ে কটূক্তি করা মানেই শত্রুর তালিকায় আরেকটা নাম যোগ হওয়া। তাই, এই অভ্যাস থাকলে আজ থেকেই দূর করুন। 

৯. চেষ্টা করুন বিরোধ জিইয়ে না রাখার। আপনার মনে বিরোধ থাকলেও তার প্রতিফলন ঘটাতে যাবেন না। 

১০. কথায় আছে, বন্ধুকে কাছে রাখুন;কিন্তু শত্রুকে আরও বেশি কাছে রাখুন। তর্কের খাতিরে হোক,গুরুত্বের খাতিরে হোক, টেকনিক্যাল কারণেই হোক,অথবা যেকোনো কারণেই হোক,শত্রুকে বেশি ভালোবাসতে হয়। তাই, শত্রুকে ভালোবাসুন।   

ঢাকা বিজনেস/এন/



আরো পড়ুন