ছোট-বড় সবারই আজকাল ঘুমের সমস্যা প্রকট। সারারাত ঘুম হতে চায় না। কারও হয় না নানাবিধ চিন্তায়, আবার কারও ডিপ্রেশনে। নিয়মিত ঘুম না হলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে জীবনধারা পরিবর্তনে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। আবার, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘুমের ওষুধ শেষ অবলম্বন। সঠিক পরিমাণে ঘুমের জন্য প্রায়ই ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়।
আপনি কি ঘুমের ওষুধ খান? কখনো ভেবে দেখেছেন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী হতে পারে? কখনো ভেবেছেন ঘুমের ওষুধ খাওয়ারও থাকতে পারে কিছু নিয়ম-কানুন? অথবা, কখন খাওয়া উচিত ঘুমের ওষুধ? আজকের এই প্রতিবেদনেই থাকছে সব প্রশ্নের উত্তর।
ঘুমের ওষুধ কখন খাওয়া উচিত?
ঘুমের ওষুধ খাওয়ার আগে, শরীরকে আরামদায়ক করার ও ঘুমানোর অন্যান্য উপায়গুলি চেষ্টা করা উচিত। এগুলো যখন কাজ করে না, তখন ঘুমের সমস্যা সমাধানের জন্য ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি। ঘুমের ওষুধ খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তারা আপনার পরিস্থিতি বুঝে প্রেসক্রিপশন দেবে, যা আপনার উপযুক্ত। এর আগে আপনার অবস্থা নিশ্চিত করতে তারা কিছু পরীক্ষাও করবে।
ঘুমের ওষুধের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি?
হ্যাঁ, ঘুমের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। প্রেসক্রিপশন নেওয়ার সময় ডাক্তারের এটি বলা উচিত। ঘুমের ওষুধের কিছু সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে:
১. অবিরাম মাথাব্যথা
২. হালকা মাথা ব্যথা বা মাথা ঘোরা
৩. গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা
৪. ডায়রিয়া বা বমি বমি ভাব
৫. সারাদিন তন্দ্রা লাগার অনুভূতি
৬. এলার্জি প্রতিক্রিয়া
৭. কিছু মনে রাখতে না পারা
ঘুমের ওষুধ খাওয়ার আগে কিছু বিষয় মেনে চলা ও মাথায় রাখা জরুরি।
ঘুমের বড়িগুলো শুধু ঘুমোতে যাওয়ার আগে খাওয়া উচিত
ঘুমের ওষুধ মূলত শরীরকে শিথিল করতে ও সঠিক ঘুমের জন্য তৈরি করা হয়। অন্য যে কোন সময় এটি গ্রহণ করা বিপজ্জনক হতে পারে। শুধুমাত্র শোবার আগে ঘুমের ওষুধ খেতে হবে। বিশেষত, ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক ২ ঘণ্টা আগে।
ডাক্তারকে সবকিছু জিজ্ঞাসা করুন
যখন ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়, তখন অবশ্যই ডাক্তারের কাছে সব তথ্য জিজ্ঞাসা করতে হবে। যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলেও তা ডাক্তারকে খুলে বলতে হবে। যেমন: অ্যালার্জি বা অন্যান্য সমস্যা থাকলে ডাক্তারকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে যাতে কোনো জটিলতা সৃষ্টি না হয়।
অ্যালকোহল সেবন করবেন না
ঘুমের ওষুধ ব্যবহার করলে অবশ্যই অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে। ঘুমের ওষুধ ও অ্যালকোহলকে কখনোই মেশানো যাবে না। কারণ, অ্যালকোহল ঘুমের ওষুধের নিরাময়কারী প্রভাবকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে মাথা ঘোরা, বিভ্রান্তি বা অজ্ঞান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ঘুমের ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হবেন না
ঘুমের ওষুধ তখনই সেবন করবেন, যখন আপনি ঘুমাতে পারবেন না। ঘুমের ওষুধের ওপর আসক্ত বা নির্ভরশীলও হয়ে যেতে পারেন অনেকে। তাই, স্বাভাবিকভাবে ঘুমাতে যেতে পারেন কি না অথবা এখনো ওষুধের প্রয়োজন আছে কিনা তা দেখতে কয়েকদিন পর বিরতি নিন।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জন্য মনিটর করুন
ঘুমের ওষুধ খাওয়ার সময় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলোর জন্য নিজেকে পর্যবেক্ষণ করুন। যদি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করেন, তাহলে সেই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে যিনি ওষুধ প্রেসক্রাইব করেছেন।
সতর্কতা
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ নেওয়া উচিত নয়।
ঢাকা বিজনেস/এন/