চারদিকে ফুলে ফুলে যেমন ভরে যাচ্ছে, তেমনি ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ। শহর থেকে গ্রাম বিভিন্ন জায়গায় বিপুল পরিমাণে আমের মুকুলের সমারোহ ঘটছে মেহেরপুরে। মুকুলের ভারে গাছের ডালপালা নুয়ে পড়ছে। ছোট-বড় গাছগুলোতে বেশি মুকুল আসতে শুরু করছে। গাছে গাছে উড়ছে মৌমাছি। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এবার আমের ফলন বেশি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মেহেরপুর শহরের কালাচাঁদপুর, শেখপাড়া নতুন পাড়া, ফতেপুর, উজলপুরসহ প্রত্যেক জায়গায় মুকুলে ছেয়ে গেছে। হলুদ বর্ণের মুকুল সূর্যের সোনালি আলোয় যেন অপরূপ রঙ ছড়াচ্ছে। মুকুলের সমারোহ দেখে বাড়ির লোকজনের মধ্যে বইছে আনন্দ।’
আবার কেউ কেউ গাছের যত্নে মনোযোগী হয়ে উঠছেন। আমের মুকুল আসছে তাই এখন মৌমাছির গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখা ভ্রমরের ব্যঞ্জনা।
আমবাগান মালিক আব্দুল বারি বলেন, ‘আমার ৭ বিঘা আমের বাগান রয়েছে। বর্তমানে আবওহায়া অনুকূলে রয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগে থেকে বাগানের আমগাছে মুকুল আসা শুরু করেছে।’
মুকুল আসার পর থেকে গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু হয়েছে। এখন গাছের নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে এ বছর আমের ভালো ফলন আসবে। এমনটিই বলছিলেন একজন বাগান মালিক।
বাগান মালিক রামিজ বলেন, ‘এখন আমরা গাছের পরিচর্যা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। নিয়মিতভাবে কীটনাশক বালাইনাশক স্পে করছি। গত বছর থেকে এ বছর বেশি ফলন হবে বলে আশা করছি।’
বাগানি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এবছর আমের মুকুল অনেক বেশি।’
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শংকর কুমার মজুমদার বলেন, ‘মুকুলের যথাযথ পরিচর্যা না করলে মুকুল ঝরে পড়ে আমের ফলন ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। আম গাছে ফুল আসার ১৫ দিন আগে পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। ফুল ফোটার সময় মেঘলা ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকলে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ হতে পারে। এখন চাষিদের আমরা নিয়মিতভাবে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে বলছি। এ ব্যাপের কৃষকদের সতর্ক করার পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করি এ বছর আমের ফলন ভালো হবে।’
ঢাকা বিজনেস/এম