তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রত্যেক শিশুরই যেন জীবনের একটি স্বপ্ন থাকে এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরন্তর প্রচেষ্টাই হবে তার জীবনের লক্ষ্য পূরণের চাবিকাঠি। অভিভাবক এবং শিক্ষকদের এ বিষয়ে যত্ন নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।’
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য শহীদুল ইসলাম, পরিষদের উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও ফারজানা সাহাদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
ড. হাছান বলেন, ‘স্বপ্ন দেখতে হয়। যার স্বপ্ন নেই, স্বপ্ন পূরণের তাগাদা তার মধ্যে থাকে না। তাই আমি শিশু-কিশোরদের অনুরোধ জানাবো, তোমরা স্বপ্ন দেখবে এবং পাশাপাশি স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরন্তন প্রচেষ্টাকে যুক্ত করবে। তাহলে তোমাদের অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। আর, কোনো কাজে হেরে গেলে ধৈর্য হারাবে না, বরং দ্বিগুণ উদ্যমে কাজ করবে, সাফল্য তোমাকে ধরা দেবেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ফেল করেও বিল গেটস একজন বিশ্বসেরা প্রতিভা হয়েছেন এবং দরিদ্র পরিবারের সন্তান এপিজে আব্দুল কালাম ভারতের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন।’
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে শিশু-কিশোরদের সংগঠিত করা ও তাদের মেধা বিকাশে অনবদ্য ভূমিকা পালন করে চলেছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে এ সংগঠনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন এবং সবসময় এ সংগঠনের প্রতি সহানুভূতিশীল। কারণ শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের যদি আমরা ঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি তাহলে জাতির ভবিষ্যতকে গড়ে তুলতে পারবো। সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত শিশুরা অন্যদের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
শেখ রাসেল স্মরণে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মাত্র ১০ বছর বয়সে শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর যেমন অনেক মানবিক গুণাবলী ছিল, তিনি যেমন একেবারে কৈশোর থেকে অপরের জন্য হাত প্রসারিত করেছিলেন, নিজের শার্ট স্কুলে থেকে আসার সময় অন্যজনকে দিয়েছিলেন, নিজের ছাতা আরেকজনকে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান যেমন নিজেদের গোলার ধান অন্যদের দিয়ে দিয়েছিলেন, ঠিক একই রকম গুণাবলী শেখ রাসেলের মধ্যে ছিল। শেখ রাসেল যদি বেঁচে থাকত, তাহলে সে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে পারতো এবং বাংলাদেশ উপকৃত হতো। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাত্রিতে বঙ্গবন্ধুকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয়, তখন শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়। আমরা তার পবিত্র আত্মার শান্তি কামনা করি ও তার গুণাবলী দিয়ে আমাদের শিশুদের অনুপ্রাণিত করি।’
সভা শেষে আয়োজকদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন তথ্যমন্ত্রী।
ঢাকা বিজনেস/এম