২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে আমরা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবো। আমি কখনোই ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চাই না।’ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সিলর ডেরেক শোলের নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। সবসময় জনগণের খাদ্য ও ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমবারের মতো সংসদে ইসির পুনর্গঠন আইন পাস হয়। তারপর সেই আইনের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। ইসি সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন এবং এর প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের ভিত্তি নেই। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্ম তো ক্যান্টনমেন্টে হয়েছে।’
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বোঝা হিসেবে দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে বিপুল সংখ্যক নাগরিক আসার কারণে স্থানীয়রা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মাদকপাচার, মানবপাচার, সন্ত্রাসবাদ ও আন্তঃসহিংসতার মতো নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মিয়ানমারের এই বাস্তুচ্যুত নাগরিকরা ৫ বছর ধরে কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে আছে। তাদের কারণে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশ ও স্থানীয়দের জীবিকা হুমকির মুখে পড়ছে। আর তাই এখন তাদের সেখানে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য উন্নত জীবন যাত্রা নিশ্চিত করতে আয়সংস্থানমূলক কাজসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছে।’ তিনি ভাসানচরে সহায়তা দেওয়ার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। সূত্র: বাসস
ঢাকা বিজনেস/এনই/
