দিনাজপুরের হিলিতে কৃষকেরা শুরু করেছে চলতি ইরি-বোরো ধান রোপণ কাজ। একইসঙ্গে শুরু হয়েছে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংও। এতে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন কৃষকেরা। সময়মতো জমিতে পানি দিতে না পারায় ব্যাহত হচ্ছে জমিতে চারা রোপণের কাজ। পানির অপেক্ষায় বসে থাকতে হচ্ছে শ্রমিকদের। কৃষকেরা বলছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি ৩ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো আবাদ করবো। জমিও প্রস্তুত । এখন জমিতে চারা রোপণ করবো। কিন্তু আজ (শনিবার) সকাল ৯ টা থেকে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকায় জমিতে পানি দিতে পারিনি। এছাড়া, বারবার বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করছে। ফলে শ্রমিকদের বসে থাকতে হচ্ছে।’
পালপাড়া গ্রামের কৃষক মো. বাবু হোসেন বলেন, ‘এবার ইরি-বোরো মৌসুমের শুরু থেকে যেভাবে বিদ্যুৎ যাওয়া আসা শুরু হয়েছে,তাতে রোপণের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎচালিত মোর্টারগুলোরও ক্ষতির আশঙ্কা আছে। সময়মতো রোপণ কার্যক্রম শেষ করতে পারবো কি না, শঙ্কায় আছি।’
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, ‘চলতি মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলার ১ পৌরসভাসহ ৩ ইউনিয়নে ৭ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষকেরা রোপণ কার্যক্রম শুরু করেছেন।’
পল্লী বিদ্যুৎ হিলি সাব জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) বিশ্বজিত সরকার ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘বড়পুকুরিয়া গ্রিড থেকে বারবার সংযোগ কেটে দেওয়ায় আজ (১১ ফেব্রুয়ারি ) হিলিতে এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। হিলিতে প্রতিদিন ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা আছে। কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে ২ থেকে ৩ মেগাওয়াট। আমি বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/