ক্রিকেটের কুলীন খেলা টেস্ট। তাতে সবচেয়ে দুর্বল দলের একটি জিম্বাবুয়ে। অথচ নিজেদের মাঠে সেই জিম্বাবুয়ের কাছে টেস্ট হারলো বাংলাদেশ। নাজমুল হাসান শান্ত’র নেতৃত্বাধীন টিম টাইগার হারলো ৩ উইকেটে। টাইগারদের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে হার দিয়ে চতুর্থ দিনেই শেষ হয়ে গেলো সিলেট টেস্ট।
এর আগে বুধবার টেস্টের চতুর্থ দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২৫৫ রানে অল আউট হয়ে যায়। ফলে জিম্বাবুয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ১৭৪। প্রথম ইনিংসের ১৯১ রান মিলিয়ে তাদের মোট সংগ্রহ ৪৪৬। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৭৩ রান। বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল ৮২ রানে। অবশেষে সেই পিছিয়ে থাকার হিসেব মেলাতে পারেনি বাংলাদেশের খেয়োয়াড়েরা।
৫০.১ ওভারে ১৭৪ করে জিম্বাবুয়ে। তারা হারায় ৭ উইকেট। যদিও শেষ বেলায় সফরকারীদের ভালোই চেপে ধরেছিল টাইগার বাহিনী। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ৩ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জিম্বাবুয়ে। নিজিদের মাঠে পরাজয়ের হতাশা নিয়ে সিলেট ছাড়তে হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। পরের টেস্ট হবে চট্টগ্রামে।
বাংলাদেশের পক্ষে স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ দুই ইনিংসে সমান পাঁচটি করে মোট ১০ উইকেট নিয়েছেন। দল জিতলে ম্যান অব দি ম্যাচের খেতাব তিনিই পেতেন।
১৭৪ রানের টার্গেট মোকাবেলায় জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে দেন ওপেনার ব্রেইন বেনেট। প্রথম ইনিংসে তিনি ৫৭ করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে করেন মূল্যবান ৫৪ রান। বেন কুরান করেন ৪৪। মূলত এই দুজনের জুটিই বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। মাদভেরে ১৯ এবং মাসাকাদজার ১২ রান করলেও জয়ের জন্য তা বড় ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাইজুল ২ উইকেটে পেলেও জিম্বাবুয়ে ব্যাটাররা তাকে রানের খনি হিসেবেই খুঁজে পেয়েছিলেন। যখনই তারা চাপে পড়েছিল তখনই তাইজুল আলগা বল দিয়ে তাদের রানের করে দিয়েছেন। ১৬ ওভরে ৭০ রান দিয়েছেন এই স্পিনার। দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট পাননি বাংলাদেশের আর কেউ।
চতুর্থ দিন ভেজা আউটফিল্ডের কারণে কিছুটা দেরিতে শুরু হয়েছিল খেলা। অধিনায়ক শান্ত আগের দিন ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন। চতুর্থ দিন সকালে কোনো রান যোগ না করেই ফেরেন তিনি। জাকের আলী করেন ৫৮, মেহেদী হাসান মিরাজ ১১, তাহজিুল ইসলাম ১, হাসান মাহমুদ ১২ এবং খালেদ শূণ্য রানে আউট হন। শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন নাহিদ রানা। ২৫৫ রানে থামে টিম টাইগার। মাহমুদুল হাসান ৩৩, মমিনুল ৪৭ রান করেছিলেন।
জিম্বাবুয়ে বোলারদের মধ্যে মুজারাবানি পেয়েছিলেন ৬ উইকেট। মাসাকাদজা নেন দুটি। দুই ইনিংস মিলিয়ে মুজারাবানির উইকেট ৯ টি।
তবে প্রথম ইনিংসে ঘরের মাঠে মাত্র ১৯১ রানে অল আউট হয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং। প্রশ্ন ওঠে কোচিং স্টাফ নিয়েও। দিনের পর দিন যারা শুধু টেস্ট খেলেন তাদর পারফরমেন্স ছিল খুবই দৃষ্টিকটূ। ওপেনার সাদমান অনিক, জয়, অভিজ্ঞ মুশফিক, স্পিনার তাইজুল, পেসার খালেদ এদের পারফরমেন্স খূশি করতে পারেনি ক্রিকেট ভক্তদের। কেউ কেউ বলছেন দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডে পরিবর্তন আনার কথাও।
#