১০ মার্চ ২০২৫, সোমবার



তারাবির নামাজ কয় রাকাত পড়তে হবে

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ১০ মার্চ, ২০২৫, ১২:০৩ পিএম
তারাবির নামাজ কয়  রাকাত পড়তে হবে


সহিহ হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার পরে জীবিত থাকবে, সে অনেক মতভেদ দেখতে পাবে। তখন আমার সুন্নত ও আমার হেদায়াতপ্রাপ্ত (চার) খলীফার সুন্নতের অনুসরণ করা তোমাদের জন্য অপরিহার্য। তোমরা একেই মজবুত করে আঁকড়ে ধরবে এবং (ধর্মীয় বিষয়ে) নিত্য-নতুন কাজ থেকে দূরে থাকবে। কেননা প্রতিটি নতুন কাজ বিদআত। আর প্রতিটি বিদআত হলো গোমরাহী। 

এ হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ সুন্নতের পাশাপাশি চার খলীফার সুন্নতকে অনুসরণ করা এবং তা মজবুত করে আঁকড়ে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং কোনো একটি বিষয় যখন চার খলীফার কোনো একজনের সুন্নত হিসাবে প্রমাণ হবে, তখন তা অনুসরণের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ নির্দেশই যথেষ্ট এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য তা আমল করা অপরিহার্য। এটাই সুনির্ধারিত। 

এ কারণেই আমাদের অনেক আমল রয়েছে, যা চার খলীফার কোনো একজনের সুন্নত হিসাবে প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত। যেমন জুমার দ্বিতীয় আজান হজরত উসমান রা.-এর জারি করা সুন্নত। তার যুগের পূর্বে জুমার মাত্র একটি আজান হতো। 

এভাবে আরো অনেক বিষয় রয়েছে, যেগুলোর ভিত্তি চার খলীফার কোনো একজনের সুন্নত। তন্মধ্যে নিয়মিত জামাতের সঙ্গে ২০ রাকাআত তারাবি অন্যতম। উপরন্তু এটি তিনজন খলীফা থেকে প্রমাণিত।

শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন,  বিশ রাকাত তারাবি খলীফাগণের সুন্নত এবং মুসলিম জাতির আমল দ্বারা প্রমাণিত। 

কাজেই কোনো একটি বিষয় চার খলীফার কোনো একজনের সুন্নত হিসাবে প্রমাণিত হলে তা মুসলিম উম্মাহর জন্য অবশ্য অনুসরণীয় হয়। এখন যদি কোনো বিষয় তিনজন খলীফা থেকে প্রমাণিত হয়, তাহলে সে বিষয়ে উম্মাহর কী করণীয় তা সহজেই অনুমেয়। 

কাজেই তারাবির বিষয়ে হজরত উমর রা.-এর অনুসরণ করে আমরা জামাতের সঙ্গে ২০ রাকাত তারাবি পড়লে হেদায়াতপ্রাপ্ত হবো, ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে সহিহভাবে ইবাদত করার তাওফিক দান করুন, আমিন।



আরো পড়ুন