১১ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার



রমজানে বাজারে নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিন

হিমিকা আহমেদ || ০৩ মার্চ, ২০২৫, ০১:০৩ পিএম
রমজানে  বাজারে নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিন


রমজানের চাঁদ দেখা গেলে কল্যাণ ও বরকতের কথাই বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্র বলে থাকে। এ মাস উপলক্ষে মুসলিম বিশ্বের অনেক স্থানে কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আরব আমিরাতে ৫০ শতাংশ মূল্যছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রমজানে যাপিত জীবনের মাসব্যাপী পরিবর্তনে যাতে নেতিবাচকতার স্পর্শ না লাগে, সেজন্য অনেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অর্থাৎ আধ্যাত্নিক উন্নতিসাধনের কল্যাণকামী পদক্ষেপ মুসলিম রাষ্ট্রের অনেক স্থানেই কার্যকর হয়। তবে আমাদের দেশে ভিন্ন কথা। রমজান এবং দুই ঈদ এ দেশের ব্যবসায়ীদের কাছে ‘সিজন’ বলে অভিহিত। প্রতিবছরই এ সময় সাধারণ মানুষের পকেট কেটে নিজেদের পকেট স্ফীত করে এক অসাধু ব্যবসায়ী মহল। ব্যবসায় লাভ করা ভুল নয়। কিন্তু তা যখন যৌক্তিকতার মাত্রা ছাড়িয়ে এবং ভোক্তাদের সামনে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে লাভ বাড়ানো হয়, তখন সংগতই বিষয়টিকে এড়ানো যায় না। রমজানে শান্তির আবহে মানুষ আক্রান্ত হয় অশান্তি ও অসুবিধার বাস্তবতায়। এ বছরও যার ব্যতিক্রম হয়নি অসাধু গোষ্ঠীর কারসাজির কারণে।

বিগত সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন খাতে অসাধু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ হবে বলেই আশান্বিত ছিল সাধারণ মানুষ, কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে তা বন্ধ হওয়া দূরে থাক, বরং সাময়িক আড়ালে থাকার পর আবারও তারা তৎপর হয়ে উঠছে। রোজায় অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট দানবের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে আমজনতার বিরুদ্ধে। ওয়াকিবহাল মহল, যারা নিত্যবাজার করেন, তারা দেখতে পাচ্ছেন, রমজান সামনে রেখে বাজারে সয়াবিন তেল নিয়ে ফের তেলেসমাতি শুরু হয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক এ জন্য যে, পর্যাপ্ত পরিমাণে ভোজ্যতেল আমদানি করা হলেও বাজারে কেন এর প্রভাব নেই? যুগান্তরের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৬ থেকে ৭টি কোম্পানি তেলের বাজার ঘিরে কারসাজি অব্যাহত রেখেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো জোটবদ্ধ হয়ে গত কয়েক মাস ধরে সরবরাহ কমিয়ে তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে।

দেশের বাজারব্যবস্থায় সিন্ডিকেট শব্দটি কোনোভাবেই সরানো যাচ্ছে না। শব্দটি এ শতকের শুরু থেকেই কালোবাজারের জায়গায় থিতু হয়েছে এবং কালোবাজারের তুলনায় আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। কালোবাজারের বিষয়টি আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকে যে রূপে ছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বদলেছে। এখন বাজারব্যবস্থা এমন বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে যে, পণ্যের দাম বাড়লেই সিন্ডিকেটের ওপর দোষ পড়ে। কিন্তু এ সিন্ডিকেট কী, সিন্ডিকেটের পণ্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে প্রভাব কতটুকু, এসব বিষয়ে বিস্তারিত ধারণাও পাওয়া কঠিন। এ ক্ষেত্রে বাজারের তুলনামূলক তথ্য পাওয়া এবং তথ্যানুসারে অসঙ্গতি চিহ্নিত করার বিষয়টি নজর এড়িয়ে যাচ্ছে। কারণ, বাজারে সরবরাহব্যবস্থায় এক ধরনের বড় অসঙ্গতি যে রয়েছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এ অসঙ্গতির কারণেই বাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে। যদিও এ বছর সবজির দাম তুলনামূলক কম। কিন্তু সবজির বাজারে পণ্যের দাম কমা আরেকটি বড় সংকট তৈরি করেছে। আমরা দেখছি, কৃষক ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় পরবর্তী মৌসুমে সবজি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এরই মধ্যে আসছে পবিত্র রমজান মাস। রমজানে কিছু নির্ধারিত সবজি এবং খাদ্যশস্যের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর চাপ বাড়ে। এ সময় গৃহস্থালি খাদ্যাভ্যাসে যেমন বদল আসে তেমন পরিবর্তন আসে খাদ্য উৎপাদন ও হোটেল ব্যবসায়ও। ধর্মীয় তাৎপর্যপূর্ণ এ মাসটিতে সঙ্গত কারণেই বাজার সরবরাহব্যবস্থা সুচারু, বাজারের অসঙ্গতি চিহ্নিত এবং ঘাটতি পূরণ করার প্রাকপরিকল্পনা নির্ধারণ জরুরি। বিশেষত পটপরিবর্তনের পর যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে, তখন সঙ্গতই সরকারকে বাজারের বিষয়ে আরও কঠোর দৃষ্টি দিতে হবে। 

বড় বড় ব্যবসায়ীর অনুকরণে রমজান মাসে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরাও সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে টাকা কামানোর ধান্ধায় লিপ্ত হয়। তারাও সাধ্যমতো নিত্যপণ্য মজুত করে ও সরবরাহ কমিয়ে রাখে। এভাবে ব্যবসায়ীরা সাময়িক লাভ করতে পারলেও সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বশেষত নিম্ন আয়ের মানুষরা। প্রতিবছরই রমজানের আগে মুনাফালোভী কিছু ব্যবসায়ী বিভিন্ন নিয়মনীতি উপেক্ষা করে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করতেই থাকেন। কঠোর আইন ও পর্যাপ্ত নজরদারি ছাড়া ব্যবসায়ীদের এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড থামানো সম্ভব নয়। কিন্তু সরকারি এবং স্থানীয় প্রশাসনের মনিটরিংয়ের ক্ষেত্রে যদি অভাব থাকে কিংবা কর্তৃপক্ষই যদি অর্থের বিনিময়ে দুর্নীতিবাজ হয়ে নজরদারিতে শৈথিল্য দেখায়, তাহলে বাজার দুর্বৃত্তদের রোধ করবে কে?

শুধু বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারশূন্য হয়ে পড়ছে বা এর মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে, এমন নয়। দাম বাড়ানো হয়েছে মুরগি, ডিম, মসলা ইত্যাদি ভোগ্যপণ্যেরও। রমজান শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণকারী কতিপয় অসাধু প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের জিম্মি করে ফেলেছে। মূল সরবরাহকারীদের এহেন অপকর্মের ফলে খুচরা বাজারেও পড়েছে দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির কোপ এবং সংকট। এসব দাম বাড়ানো ও সংকট সৃষ্টি যে উদ্দেশ্যমূলক ও কৃত্রিম তার প্রমাণ স্পষ্ট। কারণ, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের গবেষণা তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা ২৩ থেকে ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে রমজান মাসের চাহিদা ৩ লাখ টন। দেশে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৫৪৮ টন। এছাড়া দেশে উৎপাদিত হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টন এবং আমদানি পর্যায়ে পাইপলাইনে রয়েছে ৮ লাখ ১২ হাজার ৫৬৫ টন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য নিম্নমুখী। এ তথ্য থেকেই বোঝা যায়, দেশে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি ও সংকটের কোনো প্রকৃত কারণ নেই। অতএব, ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি ও সংকটের মূলে রয়েছে কিছু প্রতিষ্ঠানের কারসাজি। কারা কোন পর্যায়ে কারসাজি করছে, তা চিহ্নিত করে দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে এদের অত্যাচার বাড়তেই থাকবে এবং জনশান্তি বিপন্ন হতেই থাকবে।

গত কয়েক বছরের মতো এবারও অসাধু ব্যবসায়ীরা রমজান শুরুর কয়েক মাস আগে থেকেই ছোলা, ভোজ্যতেল, চিনি ইত্যাদি পণ্যের দাম বাড়ানো শুরু করেছে। অতীতে আমরা লক্ষ করেছি, রমজান মাসে যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, সেসব পণ্যে শুল্কছাড় দেওয়ার পরও ভোক্তারা এর সুফল পায়নি। এবারও তেমনটি ঘটেছে। সবকিছু জানার পরও কর্তৃপক্ষ বাজারের দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে সমর্থ হয়নি। বিগত সরকারের আমলে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রোধে কর্তৃপক্ষ অনেক আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ নেবে, এটাই প্রত্যাশা।

দেশের রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলাগত শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনার জন্য সমাজ ও মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে অন্যবিধ স্থিতিশীলতা আশা করা যায় না। বরং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা রাজনৈতিক, সামাজিক, আইনশৃঙ্খলাগত অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে। এজন্য বিশ্বের সব দেশেই বাজারব্যবস্থাকে স্থিতিশীল ও শান্ত রাখা হয়। বাংলাদেশের মতো এতো নিয়ন্ত্রণহীন বাজার সম্ভবত পৃথিবীর আর কোথাও নেই। সকালের দাম বিকালে দ্বিগুণ হওয়া অথবা কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ ইত্যাদি পচনশীল পণ্যের ক্ষেত্রেও আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধি হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে আকছার ঘটলেও সারা বিশ্বেই তা বিরল ঘটনা। আমরা জানি, প্রতি বছর রমজানের ১৫-২০ দিন আগে থেকেই খাতুনগঞ্জে (দেশের সবচেয়ে বড় আড়ত) বেচাকেনা বেড়ে যায়। তাই স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কিছুটা ব্যস্ত সময় কাটছে আড়তদারদের। আর বেচাকেনা বেড়ে যাওয়ায় রমজানের আগে বাড়তে শুরু করেছে মসলা জাতীয় পণ্য বিশেষ করে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম। ১০ রমজান পর্যন্ত এ ব্যস্ততা থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অর্থাৎ রমজানের সময়ের ব্যস্ততার দোহাই দিয়েই পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। অথচ এমনটি কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। বরং এ ক্ষেত্রে সরকারকে পণ্যের দাম মনিটরিং এবং সরবরাহ সুশৃঙ্খল করতে উদ্যোগী হতে হবে। এজন্য ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা প্রয়োজন। কিন্তু তারা যদি এক্ষেত্রে অসহযোগিতামূলক আচরণ করে কিংবা অসাধু পন্থা অবলম্বন করে তাহলে প্রয়োজন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। রমজানে বিশেষত নিম্ন আয়ের ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের ওপর চাপ বাড়ে বেশি। তাই আমাদের অর্থনীতির ভঙ্গুর অবস্থা বিবেচনায় বৈশ্বিক অর্থনীতির সম্ভাবনার চেয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারের শৃঙ্খলা ফেরানোই বেশি জরুরি।

রমজানেও বাজারে অস্থিতিশীলতা থাকছে শুধু অসাধু ব্যবসায়ী আর বাজার সিন্ডিকেটের কারণে, যার সঙ্গে রয়েছে সরকারের কার্যকর বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা। আর্থিক দুর্নীতির কারণে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে পরিস্থিতির অবনতি হতে বাধ্য। সরকারি সংস্থাগুলো বাজারে দ্রব্য সরবরাহে ও মূল্যে স্বচ্ছতার বিষয়ে যথাযথ নজরদারি চালালে দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া সাধারণ মানুষকে নাজেহাল করতে পারত না। তাছাড়া মজুতদারি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর আইনের প্রয়োগ ও শাস্তির দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলেও ভয়ে অপরাধীরা কিছুটা হলে কোণঠাসা হতো। বাস্তবে এসব হচ্ছে না বলেই মজুতদারি এবং সিন্ডিকেটের দাপট চলছেই। বাজারে নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে সরকারি সংস্থা ও দুদক যদি সরব থাকে, তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বছরের পর বছর সবল ও আক্রমণাত্মক থেকে মানুষের দুর্ভোগের বাস্তব কারণ হওয়ার কথা নয়।

বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য ভোক্তা ও গ্রাহকদের সচেতন হওয়া জরুরি। আমরা দেখছি, সিন্ডিকেট গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান আকারে বড় ও ক্ষমতাবান। তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারে সহজে। এদের ঠেকানোর জন্য সরকারকে কৌশলী হওয়া প্রয়োজন। সরকার যদি বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে পারে তাহলে এদের দৌরাত্ম্য কমানো সম্ভব। বাজার মনিটরিং কিংবা অভিযান পরিচালনা করে এসব সিন্ডিকেটের তৎপরতা বন্ধ করা সম্ভব নয়। বিগত সরকারের আমলে সিন্ডিকেট তেলের বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। সিন্ডিকেটে কারা থাকে তা সবার জানা। আসলে সিন্ডিকেট বলতে কী বোঝায়? ‘সিন্ডিকেট হলো ব্যক্তি, কোম্পানি, করপোরেশন বা সংস্থাগুলোর একটি সুসংগঠিত গোষ্ঠী যা কিছু নির্দিষ্ট ব্যবসা লেনদেন করার জন্য, একটি ভাগ করা স্বার্থ অনুসরণ বা প্রচার করার জন্য গঠিত হয়।’ ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতি জেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালককে সদস্য সচিব করে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/প্রতিনিধি, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা/প্রতিনিধি, মৎস্য কর্মকর্তা/প্রতিনিধি, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা/প্রতিনিধি, কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি ও দুজন ছাত্র প্রতিনিধি। সর্বস্তরের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স আন্তরিকতা নিয়ে কাজ শুরু করলে সফলতা আসবে বলে আশা করা যায়। কিন্তু যথাযথভাবে কাজ হচ্ছে কি না তাও দেখতে হবে, মানে নিয়মিত নজরদারি করতে হবে। নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তের ওপর বাজার সিন্ডিকেটের নানা ফন্দিফিকির বন্ধ হলে  সাধারণের স্বস্তি ও শান্তি ফিরবে।

মানুষ যদি সাধ্যের মধ্যে তার দ্রব্যসামগ্রী কিনতে পারে তাহলে স্বস্তি না ফেরার কারণ নেই। রমজান ঘিরে বাজার যাতে ঠিক থাকে, সে ব্যাপারে সরকার মনোযোগী হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। অতীতে ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও রমজানে পণ্যের দাম বেড়ে যেত। তখনও দোষ দেওয়া হতো সিন্ডিকেটকে। আমাদের প্রশ্ন, এখন যদি সিন্ডিকেট বন্ধ না হয়, তবে কবে হবে? সেইসঙ্গে রমজান উপলক্ষে যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে, বাজারে সেগুলোর জোগানও বাড়াতে হবে। 

লেখক: সংবাদকর্মী



আরো পড়ুন