টানা তিনদিন দরপতনের পর গতকাল প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সে সামান্য পয়েন্ট যোগ হয়েছে। তবে এদিন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির প্রবণতাও ছিল লক্ষণীয়। সূচকের পাশাপাশি গতকাল পুঁজিবাজারে দৈনিক লেনদেনও কিছুটা বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরুর পর প্রথম আধা ঘণ্টা ইতিবাচক অবস্থানে ছিল সূচক। এর পর থেকে শেয়ার বিক্রির চাপে পয়েন্ট হারাতে থাকে সূচক। লেনদেন শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে থেকে শেয়ার কেনার চাপ বাড়তে থাকায় দিন শেষে ইতিবাচক প্রবণতা ছিল সূচকে।
গতকাল ডিএসইএক্স ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৪৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৫ হাজার ১৩৬ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে প্রায় ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ৮৯৭ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৪৮ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে গ্রামীণফোন, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার।
গতকাল ডিএসইতে ৩৬০ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৩২০ কোটি টাকা। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৯৮টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১১৯টির, কমেছে ২০০টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৭৯টির বাজারদর।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৩ দশমিক ১ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ব্যাংক খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৪ শতাংশ দখলে নিয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। ১০ দশমিক ৪ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ৭ দশমিক ৭ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল তথ্যপ্রযুক্তি খাত। পঞ্চম অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
গতকাল ডিএসইতে ইতিবাচক রিটার্নে শীর্ষে ছিল বিবিধ, পাট এবং কাগজ ও মুদ্রণ খাত। এদিন আর্থিক খাত, সাধারণ বীমা এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে।