২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



ধানের শীষে চাষি হাসে

আনোয়ার হোসেন বুলু , দিনাজপুর || ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:১১ পিএম
ধানের শীষে চাষি হাসে


সারামাঠ জুড়ে সবুজের মাঝে হলুদের সমারোহ। এই চিত্র দিনাজপুরের হিলির প্রতিটি মাঠের। ইতোমধ্যে কিছু কিছু মাঠের আমন ধান পাকা শুরু হয়েছে। বেশির ভাগ ধান ক্ষেতে শীষে হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। 

কৃষকেরা বলছেন, এবার আমন মৌসুমে ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কেনো কোনো কৃষক ধান কাটা মাড়াই শুরু করেছেন। চলতি কার্তিক মাসে যদি কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা না দেয় তবে ভালো ফলনের আশা করছেন তারা। আর উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি মৌসুমে আমন ধানের লাাগানো থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ভালো ফলন পাবেন কৃষকেরা। 

উপজেলার বিশাপাড়া গ্রামের কৃষক মো. সাবেদুল ইসলাম বলেন, আমি নিজের ১ বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে চলতি আমন মৌসুমে ধান আবাদ করেছি। ইতোমধ্যে পুরো ১ বিঘা জমির ধান পেকেছে। আগামী সপ্তাহে ধান-কাটা মাড়াই শুরু করবো। আশা করছি ১ বিঘা জমিতে ১৫ থেকে ১৭ মন ধান ফলন হতে পারে। 

উপজেলার ইসবপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন, আমি নিজের জমিতে ২ বিঘা ( ৬৬ শতক) আর বর্গা নিয়ে আরও ২ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করেছি। এবার আবহাওয়ার অনুকুলে থাকায় ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। পোকার আক্রমনও দেখা দেয়নি। কৃষি বিভাগ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে। 

আব্দুল লতিফ আরও বলেন, ৪ বিঘা জমিতে ৬০ থেকে ৭০ মন ধান পেতে পারি। তবে দাম ভালো পেলে কৃষক লাভবান হবে। 

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আরেজনা বেগম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, চলতি আমন মৌসুমে ৮ হাজার ১১৭ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ৮ হাজার ১১৭ হেক্টর জমিতেই আমান ধান আবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছেন। 

আরজেনা বেগম আরও বলেন, ইতিমধ্যে ২৫ ভাগ জমির ধান পেকেছে। আর ১২ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। 



আরো পড়ুন