গ্রামবাংলার বাহারি পিঠা নিয়ে নরসিংদী সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসব করা হয়েছে। উৎসবে পিঠার স্টল দিয়েছিল কলেজের ১৯টি বিভাগ ও ৬টি সংগঠন। মঙ্গলবার ( ৩১ জানুয়ারি ) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই পিঠার উৎসব চলে।
প্রধান অতিথি থেকে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন নরসিংদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোশতাক আহমেদ ভূঁইয়া। এ সময় কলেজের প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
পিঠা উৎসব ঘুরে দেখা গেছে, কলেজের মোট ১৯টি বিভাগ ও বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয় ৬টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বমোট ২৫টি স্টল ছিল। প্রতিটি স্টলে ২০ থেকে ৩০ ধরণের পিঠা প্রদর্শন করা হয়। পুরো সময়জুড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক স্থানীয় লোকজন এতে সামিল হন। বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে নানা রকমের পিঠা চেখে দেখতে দেখা গেছে তাদের। প্রদর্শিত পিঠার মধ্যে ছিল তেলের পিঠা, ফুলপিঠা, মশলা পিঠা, ঝিনুক পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিশাপটা, ডিম পোয়া, নারিকেল পুলি, ডিম সুন্দরী, ভেজা পুলি, দুধ পুলি, সেমাই, ক্ষীরের পুলি ইত্যাদি।
স্টলগুলোতে প্রদর্শিত এসব পিঠার অধিকাংশই শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে তৈরি করে আনা।
পিঠা উৎসবে অংশ নেওয়া প্রতিটি স্টল ঘুরে মূল্যায়ন পর্ব পরিচালনা করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. সিরাজ উদ্দীন ভূঁইয়া, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আবদুল হালিম ভূঁইয়া এবং পিঠা উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শবনম শিউলী।
মূল্যায়ন শেষে বিকাল ৩টার দিকে সেরা ৭টি স্টলকে পুরস্কৃত করা হয়। স্টলগুলোর মধ্যে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে দর্শন বিভাগ, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট। যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে হিসাববিজ্ঞান বিভাগ ও রেঞ্জার। যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে রসায়ন বিভাগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
পিঠা উৎসব নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোশতাক আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আবহমান কাল ধরে চিরন্তন ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে বাঙালির ঘরে ঘরে নানা ধরনের পিঠা-পুলি তৈরি হয়ে আসছে। সুষ্ঠু সংস্কৃতির বিকাশ ও আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি গড়তে আমরা কলেজ প্রাঙ্গণে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বতস্ফূর্ততা আমাদের মুগ্ধ করেছে।’
মাহমুদ/এম