২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার



লাইফ স্টাইল
প্রিন্ট

বিকেলে ঘুমের অভ্যাস কি স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ, যা বলছেন চিকিৎসক

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৭:৩৯ এএম
বিকেলে ঘুমের অভ্যাস কি স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ, যা বলছেন চিকিৎসক


সুস্থ থাকতে ঘুমের অবদান আছে। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে শরীর ঠিক রাখতে রাতে ছয় থেকে আট ঘণ্টা  ঘুম দরকার। অনেকে আবার দুপুরে খাওবার পর ঘুমিয়ে নেন। আবার অনেকের অভ্যাস দুপুরে খাওয়া শেষ করে বিকেলে ঘুমিয়ে নেন। কেউ বলেন বিকেলে ঘুমিয়ে নিলে কাজে বেশি মনোযোগ আসে আবার অনেকের মতে এই অভ্যাস বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। বাস্তবে বিকেলে ঘুমের প্রভাব কেমন সে বিষয় উঠে এসেছে হেলথ শটের এক প্রতিবেদনে। যেখানে দিল্লির একটি হাসপাতালের পালমোনোলজি অ্যান্ড স্লিপ মেডিসিনের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. নবনীত বিকেলে ঘুমের অভ্যাস প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। 

ডা. নবনীত  জানান, এটা মানতেই হবে সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ঘুমাতে হবে রাতে। ঘুমের সময় মস্তিষ্ক নিজের দরকারি সব তথ্য ঠিকমতো গুছিয়ে নেয়। অপরদিকে সব অপ্রয়োজনীয় তথ্য ‘রিসাইকেল বিনে’ সরিয়ে রাখে। শরীর এই সময় নিজেকে সারিয়ে তোলার কাজে ব্যস্ত থাকে। এমনকি এই সময়তেই দেহে বেশিরভাগ গঠনমূলক কাজ হয়। ঘুমের মাধ্যমেই কেটে যায় ক্লান্তি। পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি হয় শরীর।তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে পর্যাপ্ত সময় ঘুমাতেই হবে।

আমরা প্রকৃতিগত-ভাবে রাতে ঘুমাই এবং দিনে জেগে থাকি। এটাই আমাদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। তবে অনেকেই বিকেলে ঘুমিয়ে নেন। অনেকেই বলেন বিকালে ঘুমিয়ে নিলে তারা ভালো করে কাজ করতে পারে। আবার অনেকে বলেন এটা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। সত্যি হচ্ছে, ভোরে ঘুম থেকে জাগলে সারা দিন নানা কাজের ব্যস্ততায় একসময় ক্লান্তি ভর করে শরীরে। ক্লান্ত শরীরে ঠিকভাবে কাজ করা সম্ভব হয় না অনেক সময়। 

মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়লে স্বাভাবিক মনঃসংযোগও ব্যাহত হয়। কাজের গতি কমে যায়। এমন সমস্যায় বিকেলে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের ‘ন্যাপ’ অর্থাৎ ছোট্ট ঘুম দেয়া যায়। দিনে ক্লান্ত হলে স্বল্পমেয়াদী হালকা ঘুম আমাদের জন্য উপকারী। সুযোগ থাকলে দুপুরে কিংবা বিকেলে ছোট্ট ঘুম দেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এই ঘুমটা হতে হবে রোজ একটি নির্দিষ্ট সময়ে, এলোমেলো রুটিনে নয়।



আরো পড়ুন