বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩তম গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পেলেন বিশিষ্ট গবেষক আহসান এইচ মনসুর। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পাঁচ দিন পরপর ১০ আগস্ট পদত্যাগ করেন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। তিনি যোগ দিয়েছিলেন ২০২২ সালের ১২ জুলাই।
সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৬৭ বছর নির্দিষ্ট থাকায় বিদ্যমান বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার অনুযায়ী আহসান এইচ মনসুর গভর্নর পদে নিয়োগ পেতে পারেন না। কারণ, তাঁর বয়স এখন ৭২ বছর ৮ মাস। সে জন্য তাকে নিয়োগ দিতে সরকারকে ওই অর্ডার সংশোধন করতে হয়েছে। এতে গভর্নর পদের বয়সসীমা তুলে দেওয়া হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ মঙ্গলবার রাতে আহসান মনসুরকে নিয়োগ দিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। তার আগে এ বিভাগের তৈরি করা এ–সংক্রান্ত ফাইলে অনুমোদন দিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
অনুমোদন পাওয়ার পর আগে অধ্যাদেশ জারি হয়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আবদুর রহমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার সংশোধন শেষে নতুন গভর্নর নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।'
আগেও একবার গভর্নরের বয়সসীমা ৬৫ থেকে ৬৭ বছর করে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার সংশোধন করা হয় সাবেক গভর্নর ফজলে কবিরের জন্য, যা ছিল দেশের ইতিহাসে প্রথম ঘটনা। দেশের মুদ্রা সরবরাহ কত হবে, টাকার মান কতটা বাড়বে, মূল্যস্ফীতির হার কত রাখা হবে—এ সবই ঠিক করেন গভর্নর। দেশের মানুষের জীবনযাপনের মান, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান তাঁর সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করে অনেকটা। কোনো দেশই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পদের জন্য রাজনৈতিক পরিচয় বা সমর্থনকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয় না, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকেই বিবেচনা করা হয়।