২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার



পর্যটকে মুখরিত সেন্টমার্টিন

তাফহীমুল আনাম, কক্সবাজার || ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩, ১০:০১ পিএম
পর্যটকে মুখরিত সেন্টমার্টিন


প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে এই দ্বীপ ভ্রমণ করেন দেশি-বিদেশি প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ পর্যটক। ৩.৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপটি দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হওয়ায় যাতায়াত করতে হয় জাহাজ বা লঞ্চে। মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ আবহওয়ার কারণে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ থাকে এই দ্বীপে। কিন্তু সব বাধা কাটিয়ে গত ডিসেম্বরে সেন্টমার্টিনে শুরু হয়েছে পর্যটক যাতায়াত, এতে হাসি ফুটেছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মুখে। ক্ষতি পুষিয়ে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা। 

জানা যায়, চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে সীমান্তে নিরাপত্তা ও নাব্যতা সংকট দেখিয়ে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ বন্ধ থাকার কারণে প্রবাল দ্বীপ পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ে। ফলে বেকাদায় ছিলেন হোটেল রেস্টুরেন্টে মালিকসহ পর্যটক সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ ৩ মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় অবকাশ যাপনে আসা পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। 

পটুয়াখালী থেকে আসা সাইমুন নাহার বলেন, ‌‘সেন্টমার্টিনে আমার প্রথম আসা। অনেক দিন থেকে আশা নিয়ে বসে আছি। সময় সুযোগ কোনোটাই হয়ে উঠছিল না। তাই এবার পরীক্ষা শেষে চলে এসেছি এখানে।’ 

আরেক পর্যটক বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এই জানুয়ারি মাসে ছুটে আসি এই প্রবাল দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে। ভোরের নির্মল হাওয়া উপভোগ যেন অপূর্ণতাই রয়ে যায়। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে এসেছি দ্বীপের নীল জলরাশিতে। খুব আনন্দ করছি।’ 


দীর্ঘ ৩ মাস পর টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় দ্বীপবাসীসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা খুশি। সেসঙ্গে সেন্টমার্টিনে পর্যটক বাড়ায় এ দু’দিনের ক্ষতির কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিয়ে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আবারও উঠে দাঁড়াতে পারবে বলে মনে করেন পর্যটক ব্যবসায়ীরা।’

ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার যাত্রীবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিনে আসে। দেখা যাচ্ছে পর্যটকের বেশ আনাগোনা। সে সুবাদে আমরা অনেক আনন্দিত এবং আমরা ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হবো বলে আশাবাদী।’

সেন্টমার্টিন হোটেল-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘পরিবার-পরিজন নিয়ে সেন্টমার্টিন ঘুরতে আসছেন পর্যটকরা। ছুটির দিন উপভোগ করতে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। দ্বীপের হোটেল-কটেজ মালিক সমিতি সবসময়ই পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে বদ্ধপরিকর।’

টেকনাফ ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্তা। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে প্রতিদিন ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে। পর্যটকদের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। সাদা পোশাকে এবং হোটেল বিচ জোন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন