পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আগামী ২ জুলাই থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। সোমবার (২০ মে) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আলোচিত নির্দেশনাটি জারি করেছে। বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বিএসইসির নির্দেশনায় বেশ কিছু শর্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার যে কোনো একটি শর্ত লংঘন করলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ওই কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করতে পারবে।
বিএসইসি’র নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানি শেষ লভ্যাংশ ঘোষণার তারিখ থেকে বা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির তারিখ থেকে পরপর দুই বছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে ব্যর্থ হলে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে। পাশাপাশি আইন অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ হলেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে কোনো রিট পিটিশন বা আদালতে বিচারাধীন কোনো আইনি প্রক্রিয়ার ফলস্বরূপ এজিএম অনুষ্ঠিত না হওয়ার ক্ষেত্রে, অর্থাৎ উপ- বিচারের বিষয় বা জোরপূর্বক ঘটনা ঘটলে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ বছর সময় পর্যন্ত বিবেচনা করা যেতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, যদি তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংস্কার বা বিএমআরই (ভারসাম্য, আধুনিকীকরণ, পুনর্বাসন এবং সম্প্রসারণ) এর জন্য এই ধরনের কোনো সময় ব্যাতীত ন্যূনতম ছয় মাস ধরে একটানা উৎপাদনে না থাকলে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হবে।
এছাড়া পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ছাড়িয়ে গেলে ওই কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা যাবে।
এছাড়া কোনো কোম্পানি ঘোষিত বা অনুমোদিত লভ্যাংশের কমপক্ষে ৮০ শতাংশ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পরিশোধ বা বিতরণ করতে ব্যর্থ হলে সেটিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করতে পারবে স্টক এক্সচেঞ্জ।
ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান ছাড়া জেড ক্যাটাগরিভুক্ত অন্য কোনো কোম্পানির উদ্যোক্তা-শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালকদের শেয়ার লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। বিএসইসির অনুমতি ছাড়া তারা ওই কোম্পানির কোনো শেয়ার কিনতে, বেচতে বা হস্তান্তর করতে পারবেন না। টি+৩ ভিত্তিতে জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেনের নিষ্পত্তি হবে।