পুরো নাম মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান। সঙ্গীতাঙ্গনে তিনি আজম খান নামেই পরিচিত। বাংলা সংগীতের ‘পপসম্রাট’ খ্যাত আজম খানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১১ সালের ৫ জুন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে না-ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
বাংলাদেশে পপগানের সূচনা হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই। তাইতো দেশের সবাই একবাক্যে তাকে এ দেশের পপসংগীতের ‘গুরু’ হিসেবে বরণ করে নিয়েছেন। আজ তার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী।
আজম খান পপশিল্পী হিসেবেই নন, একজন বীরযোদ্ধাও ছিলেন। তিনি স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ সালে লাকী আখন্দ ও হ্যাপি আখন্দ দুই ভাইকে নিয়ে ‘উচ্চারণ’ নামের একটি গানের দল গড়েন। এর মধ্য দিয়েই পপসংগীতে আজম খানের যাত্রা শুরু। সে বছরই বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে নারে’ ও ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’- এই গান দুটি তাকে জনপ্রিয় করে তোলে। এরপর ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘রেল লাইনের ঐ বস্তিতে’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘হারিয়ে গেছে খুঁজে পাব না’- এ গানগুলো গেয়ে শ্রোতাদের তিনি মাতিয়ে তোলেন।
রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় কবি জসীমউদ্দীন রোডে, মতিঝিলের ব্যাংক কলোনি মাঠে কিংবা স্টেডিয়ামের সুইমিংপুলে যারা আজম খানকে দেখেছেন, তাঁরা জানেন, বিপুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও ব্যক্তিজীবনে শিল্পী আজম খান কতটা সহজ-সরল ছিলেন। তিনি ছিলেন খোলা মনের মানুষ।
১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুর কলোনির ১০ নম্বর সরকারি কোয়ার্টারে জন্ম হয় আজম খানের। ১৯৮১ সালে ১৪ জানুয়ারি ৩১ বছর বয়সী আজম খানের সঙ্গে বিয়ে হয় সাহেদা বেগমের। আজম খান দুই মেয়ে এবং এক ছেলের জনক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
ঢাকা বিজনেস/এইচ