ফের ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ টাকা করে। গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর শুক্রবার (৩ মে) সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে খুচরা ৭০ টাকা কেজি দরে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ক্রেতারা বলেছেন, একলাকে পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকা বাড়বে, তা আমরা ভাবতেও পারিনি।
ক্রেতারা আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একদিন পরেই ১০ টাকা বেড়ে আজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। আর বিক্রেতারা বলছেন, কৃষকেরা কাছে দেশি পেঁয়াজের মুজত ধীরে ধীরে কমে আসছে। বাজারে সরবরাহও কম। তাই দাম বেড়েছে।
পেঁয়াজ কিনতে এসেছেন। মো. আখিউল আলম। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি সপ্তাহে একদিন ২ কেজি করে পেঁয়াজ কিনি। যা দিয়ে এক সপ্তাহ চলে। গেলো শুক্রবার প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকা দরে কিনেছিলাম। আর আজ প্রতিকেজি পেঁয়াজ কিনতে হলো ৭০ টাকা দরে।’
আখিউল আলম আরও বলেন, ‘একবারে বেশি করে পেঁয়াজ কিনে রাখবো। সেই ভরসাও পাচ্ছি না। গরমে পচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই কম করেই কিনি।’
আরেক পেঁয়াজ ক্রেতা মো. মাহাবুব হোসেন বলেন, ‘আমি শ্রমিক মানুষ। প্রতিদিনই বাজার করতে হয়। ৫০০ গ্রাম পেঁয়াজ কিনলেই ৩ থেকে ৪ দিন চলে। কিন্তু পেঁয়াজের দাম দিনদিন বাড়ছে। গতকাল শুললাম পেঁয়াজ নাকি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভেবেছিলাম আজ ১ কেজি পেঁয়াজ কিনবো। কিন্তু বাজারে এসে দেখছি ৭০ টাকা কেজি। তাই আর ১ কেজি কেনা হলো না। অন্যান্য সবজির সঙ্গে ৩৫ টাকা দিয়ে ৫০০ গ্রাম পেঁয়াজ কিনে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।’
পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. জাহিদ হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজে সরবরাহ ধীরে ধীরে কমে আসছে। আমার মনে হয়, কৃষকদের কাছেও পেঁয়াজের মজুত কমে আসছে। কৃষকেরা বেশি দামের আশায় কম পরিমাণে পেঁয়াজ বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন। আর আমরা পাইকাররা বেশি দাম দিয়ে কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছি।’
জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘আজ পাইকারি ৬৪ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। আর খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। খুচরা বিক্রেতারা হয়তো ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। কারণ খুচরা বিক্রেতাদের পেঁয়াজ তো একদিনে সব বিক্রি হয় না। কিছু পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে যায়। তাই তারা কেজিতে ৫ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করেন।’
/ঢাকা বিজনেস/এনই/